‘অনুশীলন বয়কট করেনি, কাল ২৫ শতাংশ পেমেন্ট পাবে’
ছবি: স্থানীয় ক্রিকেটারদের এখনও পারিশ্রমিক দেয়নি দুর্বার রাজশাহী, ক্রিকফ্রেঞ্জি
চট্টগ্রামে পা রাখার পর প্রথম দিন অনুশীলন না করে বিশ্রামে ছিলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। তবে ১৫ জানুয়ারি এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বুধবার সকাল ১০টায় অনুশীলন করার কথা ছিল তাদের। তবে সকাল ৯ টা ৪৮ মিনিটে অনুশীলন বাতিল করে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়ার কথা জানায় রাজশাহীর মিডিয়া বিভাগ। যদিও একটু পরই মেলে ভিন্ন তথ্য। বিপিএলে ৬ ম্যাচ খেললেও এখনো পারিশ্রমিক বুঝে পাননি দলটির স্থানীয় ক্রিকেটাররা।
‘তাসকিন এখনও সেরাটা দেখাতে পারেনি’
৯ জানুয়ারি ২৫নিয়ম অনুযায়ী, বিপিএল শুরুর আগে পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ২৫ শতাংশ এবং বিপিএল শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে বাকি ২৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। অথচ বিদেশি ক্রিকেটার কিংবা কোচিং স্টাফরা ছাড়া দেশিরা বেশিরভাগই টাকা পাননি। বিদেশিরাও পেয়েছেন মাত্র ২৫ শতাংশ।
শুধু তাই নয় গত ১০ দিনের দৈনিক ভাতাও (ডিএ) পরিশোধ করা হয়নি তাসকিনদের। ফলে বাধ্য হয়েই স্থানীয় ক্রিকেটাররা বয়কটের ডাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে রাজশাহীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটারদের চাওয়া অনুযায়ী তাদের বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৬ জানুয়ারি দুপুর কিংবা বিকেলের মধ্যে দেশি ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহীর ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ বলেন, ‘অনুশীলন বয়কট যে শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে আমি যতটুকু জানি এবং আমার টিম ম্যানেজমেন্ট বা খেলোয়াড় কারো পক্ষ থেকে বয়কট শব্দটি যায়নি। আমাদের ম্যাচ আছে আমরা ব্যস্ত সূচির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এজন্য ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চেয়েছিল।’
স্পিন দিয়ে খুলনাকে হারাল রাজশাহী
১০ জানুয়ারি ২৫‘আমরা তাদের বিশ্রাম দিয়েছি। পেমেন্টের কোন ইস্যু ছিল না। পেমেন্টের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীকাল ১৬ তারিখ বিকেল বা দুপুরের পর পর আমরা পেমেন্টগুলো দিয়ে দেব। সে অনুযায়ী আমরা ম্যানেজমেন্ট কাজ করছি এবং প্রতিটা ক্রিকেটারই জানে।’
সিলেট পর্বে খেলা চলাকালীন অবশ্য ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকের চেক দিয়েছিল মালিক পক্ষ। তবে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে চেক বাউন্স করে। জানা যায়, দলটির মালিক দেশে না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকাতে খেলা চলাকালীন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে খেলতে দেখতে এসেছিলেন শফিক রহমান। সেই সময় বল আঘাতে ব্যথা পান তাঁর স্ত্রী। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া যায়।
চেক বাউন্স করার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘চেক বাউন্সের যে ইস্যুটা ছিল, আমরা চেক দিয়েছিলাম সিলেটে। আপনারা জানবেন যে ঢাকাতে আমাদের শেষ ম্যাচে মালিকের স্ত্রীর গায়ে একটা বল লেগেছিল এবং হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া লাগে। ফোনে যেহেতু ব্যাংক ক্লিয়ারেন্সের ব্যাপার থাকে। মালিককে পাবে তাই আমরা আগেরদিনই জানিয়ে দিয়েছিলাম তোমরা চেকগুলো জমা দিও না।
‘এটা প্রায় সব ক্রিকেটারকে জানিয়েছিলাম, এরমধ্যে হয়ত দু-একজন জমা দিয়ে ফেলেছিল। পরে বলেছে ভাইয়া তথ্যটা আমাদের কাছে ছিল না, আমরা মিস করে গেছি। অসুবিধা নেই ভাইয়া, এটা যখন আসবে তখন আমরা ম্যানেজ করে নিব। এতটুুকুই ছিল ব্যাপার কিন্তু সবার কাছে চেক দেয়া আছে ২৫ শতাংশের। আর বিদেশি যারা ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফ আছে তাদের ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ দিয়ে ফেলেছি।’