জোন্স-মানজির মাথায় কী চলছিল জানেন না জাকের
ছবি: সিলেট স্ট্রাইকার্সের হারের পেছনে অন্যতম কারণ অ্যারন জোন্স (বামে), জর্জ মানজি (ডানে) জুটির
২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে গিয়েছিলেন পল স্টার্লিং। আগের দুই ম্যাচে সিলেট জেতানোর নায়ক জাকির হাসানকে থামতে হয় ১৯ বলে ২৫ রান করে। ওপেনার রনি তালুকদারও সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ৪২ রান তুলতেই তাই ৩ উইকেট হারাতে হয়েছে সিলেটকে। পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারালেও ৪৬ রান তোলে আরিফুল হকের দল।
রান তোলার জন্য আফ্রিদির ওভারকেই লক্ষ্য বানিয়েছিলেন মানজি
৮ জানুয়ারি ২৫রনি ফেরার পর সিলেটের হয়ে ব্যাটিং করছিলেন জোন্স ও মানজি। বেশিরভাগ ম্যাচেই শেষ বেলায় এসে ক্যামিও খেলার সুনাম আছে জোন্সের। বিপিএলেও সেটাই করে দেখিয়েছেন এবারের আসরে। অথচ সেই ডানহাতি ব্যাটারই আউট হলেন ১৮ বলে ১৫ রান করে। তাকে সঙ্গ দেয়া মানজি যখন ফেরেন তখন তাঁর রান ৩৭ বলে ৫২। এমনটা দেখে হয়ত বলা যেতে পারে একজন খারাপ করলেও সেটা তো অন্যজন পুষিয়ে দিয়েছেন।
আরও একটা বিস্তারিত দেখলে বিশেষ করে সপ্তম থেকে একাদশ ওভার পর্যন্ত খেয়াল করলে পরিস্কার ধারণা পাওয়া যাবে। জোন্স ও মানজির ব্যাটে সেই সময় মাত্র একটি বাউন্ডারি এসেছিল। এ ছাড়া একের অধিক অর্থাৎ দুই কিংবা তিন রান নিতে দেখা যায়নি তাদের। ১৩টি ডট দেয়া এই জুটি বাউন্ডারি মারার কিংবা দ্রুত রান তোলার প্রচেষ্টাই দেখাননি। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া তাই অসম্ভবপর হয়ে উঠে।
অথচ জোন্স ফেরার পর ১৪ বলে ৩৯ রান করেন আগের ১৯ বলে ১১ রান করা স্কটল্যান্ডের এই ব্যাটার। জাকেরের ২৩ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসেও জেতা সম্ভব হয়নি সিলেটের। তাদের দুজনের এমন ব্যাটিং দেখে অবাক হয়েছেন জাকের নিজেও। ম্যাচ শেষে ডানহাতি ব্যাটারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ওই সময়ের পরিকল্পনা কিংবা তাদের ভাবনায় কী ছিল। এমন প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে জাকের জানান, তিনি নিজেও জানেন না জোন্স ও মানজির মাথায় কী চলছিল।
পিএসএল ড্রাফটে সিলভার ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের ২১ ক্রিকেটার
৮ জানুয়ারি ২৫এ প্রসঙ্গে জাকের বলেন, ‘এখানে (সংবাদ সম্মেলন) আসতে আসতেও বলছিলাম, ওদের (মানসি ও জোন্স) মাথায় কী চলছিল ওরাই জানে। আমরাও আলোচনা করছিলাম, একটু কম (রান) হয়ে গেছে। ওই জায়গায় যদি ১০-১৫ রান বেশি আসত, তাহলে তো প্রায় চলেই এসেছিলাম…।’
পরের দিকে রান তাড়া আউট অব রিচ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে জাকের বলেন, ‘হ্যাঁ, একটু আউট অব রিচ হয়ে গেছে। তখন তো প্রায় ১৫-তে চলে গেছে (ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় রান) । আসলে টপ অর্ডার থেকে আরেকটু দ্রুত খেলতে পারলে হয়তো ভালো হতো। প্রতিদিন তো টপ অর্ডাররা ভালো করছে, একটা দিন হয়তো তারা পারেনি।’