জাকিরের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর সিলেটকে জেতালেন রনি-আরিফুলরা
ছবি: জাকির হাসানের আরেকটি চার, ক্রিকফ্রেঞ্জি
১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলার দরকার ছিল সিলেটের। যদিও প্রথম বলেই রাকিম কর্নওয়ালের উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। মুস্তাফিজুর রহমানের লেগ স্টাম্প তাক করা বলটি এই ক্যারিবিয়ান ওপেনারের প্যাডে আঘাত হানে। রিভিউ নিয়েও শূন্য হাতে ফেরেন এই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে জর্জ মানসির উইকেট হারায় দলটি। আবু জায়েদ রাহীকে সেই ওভারে দুটি চার মারলেও তার অফ স্টাম্প তাক করা বলে হুইপ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন মানসি তার ব্যাটে আসে ১১ রান।
পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান দুই ছক্কায় ১৪ রান করা অ্যারন জোন্সও। তবে একপাশে রানের চাকা সচল রাখেন জাকির হাসান। শুভম রঞ্জনের ষষ্ঠ ওভারে চারটি চারে ১৯ রান আদায় করেন তিনি। পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভারে সিলেট করে তিন উইকেটে ৭৪। আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে খেলতে মাত্র ২৫ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকির। বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে এটি তার ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি।
২৭ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৮ রান করা জাকেরকে ফিরিয়েছেন শুভম রঞ্জনে। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে টাইমিংয়ে গড়বর করে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুলে দেন জাকির। এর আগে অবশ্য ১১ রান করা নাহিদুল ইসলামকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দশম ওভারে দলীয় ১০৯ রানে জাকিরের উইকেট হারায় সিলেট। এরপর জাকির আলীর ১৭ বলে ২৪ এবং রনি তালুকদারের ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংসে আবারও ম্যাচ ফেরে সিলেট। শেষে আরিফুল হকের ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ঢাকা শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তাক লাগিয়ে দেয় সবাইকে। বিশেষ করে বাজে ফর্মের কারণে আগের ম্যাচের একাদশে না থাকা লিটন কুমার দাস শুরু থেকেই চড়াও হন সিলেটের বোলারদের উপর। ইনফর্ম লিটন শুরু থেকেই চার-ছক্কার দাপট দেখান।
ধৈর্য ধরে এদিন লিটন মাঠে টিকে ছিলেন, আদায় করে নিয়েছেন নিজের হাফ সেঞ্চুরিও। প্রায় ১৭০ স্ট্রাইক রেটে ৪৩ বলে খেলা ৭৩ রানের ইনিংসে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ টি চারের মার, এসেছে একটা ছক্কাও। লিটনকে সঙ্গ দিয়ে ৪৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন মুনিম শাহিরিয়ার, তবে ১১০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস মন জয় করতে পারেনি সমর্থকদের।
তবে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে গত ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো কেড়ে নেয়া সাব্বির রহমান এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ছিলেন অনবদ্য। মাত্র ১০ বল খেলে করেছেন তিনটি ছক্কায় ২৩ রান। ব্যাট করেছেন ২৩০ স্ট্রাইক রেটে। ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরাও ৯ বলে খেলেছেন ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস। লিটন, সাব্বির, পেরেরার ব্যাটে ভর করেই ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।