‘যুদ্ধে নামলে গুলি খেতেই হবে’, ইনজুরি নিয়ে নাহিদ
ছবি: বল করছেন নাহিদ রানা, ক্রিকফ্রেঞ্জি
একজন খেলোয়াড়কে ঠিক কোন উপায়ে খেলানো হলে সেটা বাড়তি চাপ তৈরি করবে না– সেটিকেই বলা হচ্ছে 'ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট'। গেল বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় প্রাপ্তি গতিময় পেসার নাহিদ। তার 'ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট' নিয়ে ক্রিকেট মহলেও চলে প্রচুর আলোচনা।
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন, নাহিদকে আলাদাভাবে নজরে রাখছেন তারা। তরুণ এই পেসার যেন খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে না পড়েন বা তার ওপর যেন ক্লান্তি ভর না করে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছে রংপুর ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এবার ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দল জেতানোর পর সেকথাই বলেছেন নাহিদ। এই ম্যাচে মাত্র ২১ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন দ্রুতগতির এই পেসার। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, রংপুরের পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) তার 'ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট' নিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছে।
নাহিদ বলেন, 'ধরেন, মানুষ যুদ্ধে নামলে গুলি খাইতে হয়। ক্রিকেট খেলতে আসলে ইনজুরিতে পড়বো। আর যেটা মেইনটেইনের কথা বলছিলেন, ফিটনেস, এগুলো সব নিজে মেইনটেইন করছি। আর বিসিবি যেসব সিডিউল দিয়েছে, ওগুলো মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি। সামনে যা হবে আলহামদুলিল্লাহ।'
'দেখেন, আমি লাস্ট ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তো তারপরে গ্যাপ পাইছি খেলি নাই। বিসিবির একটা নির্দেশনা ছিল যে, তোমাকে মেইনটেইন করবা এবং প্ল্যান দিছে যে তুমি এইভাবে ফিটনেস করবা এবং ম্যাচ খেলবা। এখন পর্যন্ত বিসিবি বলছে যে আমার বোলিং ঠিক আছে এবং ফিল করতেছি যে শরীর ঠিক আছে।'
আসরে রানার মতোই ছন্দে আছে তার দল রংপুর রাইডার্স। মৌসুমে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলছে রংপুর। সবকটিতেই জিতেছে দলটি। টানা জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও আছে দলটি।
দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে নাহিদ আরও বলেন, 'আসলে আমাদের হচ্ছে টিম বন্ডিংটা অনেক ভালো। টিম ধরেন মাঠে বলেন, মাঠের বাইরে বলেন এবং আমাদের কোচ ধরেন যাদের যে প্লেয়ারকে যে প্ল্যান দেয় সেটা মাঠের মধ্যে এক্সিকিউট করার চেষ্টা করি। আমাদের টিম বন্ডিংটা অনেক ভালো। এটার জন্য হচ্ছে মাঠে পারফর্মটা ভালো হচ্ছে।'