বাংলাদেশে এসে স্মৃতির ভেলায় ভাসলেন ইজাজ
ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন ইজাজ আহমেদ, ক্রিকফ্রেঞ্জি
প্রায় ১০ হাজার রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ও ১৭৫ রানের জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ২১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইজাজ। সেই ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশে। ঢাকায় আরও অনেক সুখস্মৃতি আছে ইজাজের। সেই সময়ের বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গেও সখ্যতা আছে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারদের।
ইজাজ এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল দুর্বার রাজশাহীর প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশে এসে তাই স্মৃতির ভেলায় ভেসে গেছেন তিনি। প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়ায় রাজশাহীর কর্ণধারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইজাজ। তিনি আশাবাদী দলটির হয়ে এবার তার ভালো সময় কাটবে।
এ প্রসঙ্গে ইজাজ বলেছেন, 'দূর্বার রাজশাহীর কোচ হিসেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। এটা আমার পঞ্চম বা ষষ্ঠ বাংলাদেশ সফর। টেস্টে আমার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ঢাকা স্টেডিয়ামে, ২০৯ (আদতে ২১১)। এখানে আমি বেশ পরিচিত ছিলাম। এরপর এখানে এশিয়া ইমার্জিং কাপে আসি, সেটাও আমরা জিতি। তাই আমার সময়ে যেসব ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলে খেলেছেন, তাদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে। এবার আমি তাদের মিস করব।'
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'রাজশাহীর কর্ণধারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাকে বেশ সাহায্য করেছেন। আমাকে বেশ কয়েকটি জায়গায় সুবিধা দিয়েছেন। তাই অন ফিল্ড এবং অফ দ্যা ফিল্ডে সময়টা ভালো যাবে আশা করছি। এটাও আশা করছি যে আমরা ভালো খেলব এবং আমার কোচিং এবং ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করব।'
কোচ হিসেবে বেশ অভিজ্ঞই বলা যায় ইজাজকে। তিনি পাকিস্তানের হাই পারফরম্যান্স দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলেছেন বেশ কিছুদিন। এ ছাড়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল লাহোর কালান্দার্সের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন। বিপিএলে এবার সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চান ইজাজ।
তার ভাষ্য, 'এর আগে আমি পিএসএলে কাজ করেছি। প্রথমবার বিপিএলে কাজ করছি এটা আমার জন্যে সম্মানের। আশা করব এটা খুবই রোমাঞ্চকর হবে। আশা করি পরের বছরও আসতে পারব। মালিকরা সম্ভবত পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি সাজিয়েছে। আশা করি বিপিএলে তারাও আরামদায়ক হবে।'
নিজের লক্ষ্য নিয়ে ইজাজ বলেছেন, 'আমি আশা করব, তারা যেন তাদের ক্রিকেট উপভোগ করতে পারে। আমার ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা থেকেও ভালো কিছু নিতে পারে। আমিও আমার অভিজ্ঞতা তাদের কাছে শেয়ার করব যেন তারা এগিয়ে যেতে পারে। কেননা দলে কিছু ক্রিকেটার আছে যারা নতুন, আর ৩-৪ জন ক্রিকেটার আছে যারা আগে বাংলাদেশ দলে খেলেছে, কিন্তু এখন দলে নেই। আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে তাদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা দেয়া। আমি তাদের বলব এই বিপিএলে উপভোগ করে খেলতে।'