গত অক্টোবরে ম্যাচ ফিক্সিংকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে ঘোষণা করতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকায় সেটিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করতেই এমন আবেদন করে তারা।
সেটারই অংশ হিসেবে রাজ্য পুলিশের অপরাধ বিভাগে এফআইআর দায়ের করেছে এসিএ। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে খেলার সময় বর্তমান আসাম দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে প্রভাবিত ও দুর্নীতিতে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের বরখাস্ত করার পাশাপাশি এফআইআর দায়ের করেছে এসিএ।
এ প্রসঙ্গে এসিএ সেক্রেটারি সনাতন দাস বলেন, ‘অভিযোগ সামনে আসার পর বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি-করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (এসিএসইউ) বিষয়টি তদন্ত করে। পাশাপাশি আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে চার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের প্রমাণ মিলেছে, যা ক্রিকেটের সততা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।’
জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর লক্ষ্ণৌতে হয়েছে আসামের লিগ পর্বের খেলা। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির এবারের মৌসুমে সুপার লিগে জায়গা করে নিতে পারে আসাম। যার ফলে অভিযোগগুলো আসতে শুরু করে। এদিকে বরখাস্তকালীন সময়ে রাজ্য ক্রিকেটের কোন পর্যায়েই অংশ নিতে পারবেন না ওই চার ক্রিকেটার।
শুধু ক্রিকেট খেলা নয় ম্যাচ রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা, কোচিং, আম্পায়ারসহ সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে নিষিদ্ধ থাকবেন তারা। সনাতন জানিয়েছেন, সমস্ত জেলা অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে তারা যেন এই আদেশ কঠোরভাবে মেনে চলে এবং তাদের আওতাধীন ক্লাব এবং একাডেমিগুলোকে এসিএ এর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করে।