শুভাগত'র মাইলফলকের ম্যাচ ড্র-
সাত উইকেটে ৩৮৭ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ময়মনসিংহ। খুলনার করা ৩৮৭ রানের জবাবে দলটি প্রথম ইনিংসে থামে ৪৫৯ রানে। ফের ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৪০ রান করে খুলনা।
আগের দিন ৬২ রানে অপরাজিত থাকা আল আমিন এ দিন ১৯১ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা আগের দিনের আরেক ব্যাটার আরিফ আহমেদ উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে থামেন ১৪৬ বলে ৮১ রান করে। খুলনার হয়ে তিন উইকেট নেন সফর।
দ্বিতীয় ইনিংসে পুনরায় ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই ফিরে যান এনামুল হক বিজয়। তারপর সৌম্য সরকার এবং কালাম সিদ্দিকি মিলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙেন মারুফ মৃধা। সৌম্যকে ৪৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
৭৯ বলে ৩১ রান করা কালামকে বোল্ড করেন আরিফ। ৮৬ রানের মধ্যে ফিরে যান সামিউন বশির রাতুল (৬) এবং ইমরানউজ্জামান (০)। দুজনকেই ফেরান শুভাগত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার উইকেট সংখ্যা এখন ৩০১টি।
খুলনার হয়ে ম্যাচ শেষ করেন আফিফ হোসেন এবং জিয়াউর রহমান। আফিফ ৮৫ বলে ৩৮ এবং জিয়া ৮৪ বলে ১০ রান করেন। ময়মনসিংহের হয়ে শুভাগত দুটি এবং গালিব, মারুফ ও আরিফ একটি করে উইকেট নেন।
বরিশালকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা-
ঢাকার ২৭৩ রানের জবাবে বরিশাল করে ৩৪১ রান। তারপর পাঁচ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে ঢাকা। চতুর্থ দিনে বেশিদূর যেতে পারেনি দলটি। ১৬৯ রানেই অল আউট হয়েছে তারা।
সুমন খান ২৫ এবং আশিকুর রহমান শিবলি করেন ৩০ রান। শেষদিকে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন শাকিল হোসেইন। বরিশালের হয়ে তানভিরের সাত উইকেট ছাড়াও অভি আহমেদ নোবেল নেন তিনটি উইকেট।
১০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪১ রান তোলে বরিশাল। ৩০ রান করা আদিল বিন সিদ্দিকিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাজমুল ইসলাম অপু। তার পরের বলে ফাজলে মাহমুদ রাব্বি শুন্য রানে স্টাম্পিংয়ে বিদায় নেন।
৮০ রানের মধ্যে আরো দুই উইকেট হারায় বরিশাল। সালমান হোসেন ইমন ১৫ এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ শুন্য রানে বোল্ড হন। বরিশালকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ইফতেখার হোসেন ইফতি। ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তাসামুল হক।