অঙ্কনের সেঞ্চুরি, মিরাজ-নাহিদুলের ৮ উইকেট

ঘরোয়া
অঙ্কনের সেঞ্চুরি, মিরাজ-নাহিদুলের ৮ উইকেট
বিসিবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ঢাকা বিভাগ। দুর্দান্ত ইনিংসে সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। অঙ্কনের ওমন ব্যাটিংয়ের দিনে ৯৯ বলে ৭৪ রান করেছেন সুমন খান। তাদের দুজনের ব্যাটেই ৩১০ রান তোলে ঢাকা। অন্য ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাহিদুল ইসলাম নিয়েছেন চারটি করে উইকেট। তবুও খুলনার বিপক্ষে ১৪৭ রানের লিড পায় রাজশাহী বিভাগ।

অঙ্কনের ১২২ ও সুমনের ৭৪, ঢাকা ৩১০

মার্শাল আইয়ুব ফেরার পর তাইবুর রহমানকে নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিলেন অঙ্কন। ৫ উইকেটে ১২০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি তাদের জুটি। দ্রুতিই ফিরে গেছেন তাইবুর। ৪৪ বলে ২৫ রান করে নাবিল সামাদের বলে আউট হয়েছেন তিনি। রিপন মণ্ডলও আউট হয়েছেন দ্রুতই। তবে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অঙ্কন।

পরবর্তীতে সুমনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকাকে এগিয়ে নিতে থাকেন দলটির অধিনায়ক। অঙ্কনকে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন সুমনও। শুরু থেকেই খানিকটা দ্রুত রান তুলছিলেন তিনি। একটু পর দলকে টেনে নেয়ার পাশাপাশি ২২১ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চতুর্থ সেঞ্চুরি করেন অঙ্কন। ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান সুমন। তারা দুজনে মিলে ১২৫ রানের জুটি। তাদের দুজনের ওমন জুটিতেই মূলত লড়াইয়ের পথ খুঁজে পায় ঢাকা।

ক্যারিয়ারসেরা ১২২ রানের ইনিংস খেলে তোফায়েল আহমেদের বলে আউট হয়েছেন অঙ্কন। সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকা সুমন ৭৪ রানে আউট হয়েছেন খালেদের বলে। শেষ পর্যন্ত ৩১০ রানে অল আউট হয় ঢাকা। সিলেট বিভাগের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ইবাদত ও খালেদ। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে সৈকত আলী ও জাকির হাসানের ব্যাটে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেছে সিলেট।

মিরাজ-নাহিদুলের ৮ উইকেট, রাজশাহীর লিড

এক উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামেন রাজশাহীর সাব্বির রহমান ও প্রিতম কুমার। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছে দ্রুতই। ৩৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছেন সাব্বির। দলের রান একশ পেরিয়ে যাওয়ার ফিরে গেছেন প্রিতমও। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৭৫ বলে ৪৭ রান করেছেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। লম্বা সময় টিকে থাকলেও এস এম মেহেরবকে ফিরতে হয়েছে ৮৮ বলে ২৬ রান করে।

সানজামুল ইসলাম, নিহাদ উজ জামানরা দ্রুত ফিরলে ১৬৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে নিয়েছেন শাখির হোসেন শুভ্র। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ। তারা দুজনে মিলে ৬২ রান যোগ করেন। ওয়ালিদ ফেরেন ৪২ বলে ২৪ রান করে। ১৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শাখির। যদিও শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে ফেরার আগে ১৭২ বলে ৮৯ রান করেছেন শাখির।

খুলনার হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার নাহিদুল ও মিরাজ। তাদের দুজনের এমন বোলিংয়ে ২৬৮ রানে অল আউট হয় রাজশাহী। তবে প্রথম ইনিংসে খুলনা ১২১ রানে অল আউট হওয়ায় ১৪৭ রানের লিড পায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রান করা সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে খুলনা। তবে দিনের বাকিটা সময় শেষ করেছেন অমিত মজুমদার ও এনামুল হক বিজয়। এক উইকেটে ৬৮ রান খুলনা এখনো রাজশাহীর চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে।

আরো পড়ুন: এনসিএল