মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে রংপুরকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার নাসির হোসেন ও জাহিদ জাভেদ। দুজনে ওপেনিং জুটিতেই যোগ করেন ৬১ রান। জাভেদ ২৪ বলে ২৭ রান করে ফিরলেও নাসির দ্বিতীয় উইকেটে আরেকটি জুটি গড়েন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামের সঙ্গে।
দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন আরও ২৩ রান। নাসির হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকে আউট হয়েছেন। ৩১ বলে ৪৬ রান করে আফিফ হোসেন ধ্রুবর শিকার হয়েছেন তিনি। এরপর নাইম ও অধিনায়ক আকবর মিলে রংপুরকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তৃতীয় উইকেটে এ দুজনে অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রানের জুটি গড়েন। নাঈম ৩২ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। আকবর অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে ১৯ রান করে।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মোহাম্মদ ইমরানুজ্জামানের উইকেট হারায় খুলনা। এই ওপেনারকে নিজের শিকার বানান সিলেট ছেড়ে রংপুরের হয়ে খেলতে আসা স্পিনার নাসুম আহমেদ। এই স্পিনারের বলে স্লিপে অনিক সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শূন্য রানে আউট হওয়া ইমরানুজ্জামান। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। সৌম্য সরকার পয়েন্টে বল ঠেলে রান নিতে চেয়েছিলেন।
তবে তাতে কপাল পুড়ে বিজয়ের। পয়েন্ট থেকে ছোড়া বলে তাকে রান আউট করেন উইকেটকিপার আকবর। ৩ বল পর আউট হয়েছেন সৌম্যও। আবু হাসিমের বলে বোল্ড হন তিনি। ইকবাল হোসেনের বল স্ট্রেইট ব্যাটে খেলতে গিয়ে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১০ বলে ১৪ রান করা আফিফ। টিকতে পারেননি শেখ পারভেজ জীবন। এক্সট্রা কাভারে তুলে মারতে গিয়ে তিনি উইকেট হারান নাসুমকে ক্যাচ দিয়ে।
আলাউদ্দিন বাবু আউট করেছেন শেষদিকে খুলনার ইনিংস টানা মৃত্যুঞ্জয়কে। ডিপ মিড উইকেটে তিনি ক্যাচ দেন সাব ফিল্ডার রাফিউজ্জামান রাফিকে। ১৩ বলে ২৪ রান করা মৃত্যুঞ্জয় ফেরায় ভাঙে মিঠুনের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৪ রানের জুটি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক মিঠুনও।
১৮তম ওভারে এসে খুলনার ইনিংসে ধস নামান আব্দুল্লাহ আল মামুন। পর পর দুই বলে তিনি আউট করেন মিঠুন ও অভিষেক দাসকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও সেটা করতে পারেননি তিনি। তবে বাবুর এমন বোলিংয়ের খুলনার সংগ্রহ বেশিদূর এগোতে দেয়নি। মিঠুন ৩২ বলে ৪৪ রান করেন। শেষদিকে নাহিদুল ইসলামের ৭ বলে ১১ ও জিয়াউর রহমানের ৯ বলে ৯ রানে ১৩০ পেরিয়ে যায় খুলনা।