টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই চট্টগ্রাম তোলে ৬৩ রান। মুমিনুল হককে ফিরিয়ে জয়ের সঙ্গে তার এই জুটিটি ভাঙেন রেজাউর রহমান রাজা। তার গুড লেংথের বলে পুল খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। তার ব্যাটে আসে ১৯ বলে ৩২ রান।
তিনে নামা শাহাদাত হোসেন দিপু সুবিধা করতে পারেননি। চার বলে দুই রান করা দিপুকে বোল্ড করে ফেরান নাবিল সামাদ। ১০ ওভারের মধ্যে সাদিকুর রহমানের উইকেটও হারায় চট্টগ্রাম।
নাবিলের বলে লফটেড শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন সাদিকুর। ৮ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। ২০তম ওভার শুরুর আগ পর্যন্ত জয় এবং ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম।
৮৪ রানে তিন উইকেট হারানো দলটিকে ১২২ রানের জুটিতে ছন্দে ফেরান জয়-ইরফান। শেষ ওভারে অবশ্য দুজনই ফিরে যান। সেঞ্চুরির পর দলকে দুইশ পার করে দিয়ে বিদায় নেন জয়। তোফায়েল আহমেদের বলে লং অনে ক্যাচ দেন এই সেঞ্চুরিয়ান।
৬৩ বলে পাঁচটি চার ও ৯টি ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলেন জয়। এর এক বল পর বোল্ড হন ইরফান। ২২ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। শেষ বলে ইয়াসির আলী রাব্বিকেও (৫) বিদায় করেন তোফায়েল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২১৪ রান তোলে চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে দলটির হয়ে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন অমিত হাসান।
এ ছাড়া শেষদিকে ২৫ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে কোনোমতে একশ পার করান আবু জায়েদ রাহী। মাঝে খালেদ হাসান করেন ১৩ বলে ১৮ রান। এই তিনজন ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।
১৮.১ ওভারে ১১৫ রানে অল আউট হয় সিলেট। চট্টগ্রামের হয়ে ১৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ রুবেল। দুটি করে উইকেট নেন আহমেদ শরীফ এবং মুরাদ। একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান।