সবশেষ এনসিএলে রাজশাহীতে কোন ম্যাচ ছিল না। তবে এবারই প্রথম এই ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে এনসিএল। আর ঘরের মাঠে ঢাকা মেট্রোকে আতিথ্য দিচ্ছে রাজশাহী। যদিও বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের খেলা নামিয়ে আনা হয় ৫ ওভারে। আর এই ৫ ওভারের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা মেট্রো অধিনায়ক নাইম শেখ।
অধিনায়ক নাইমের সিদ্ধান্ত ইনিংসের শুরুতেই ঠিক প্রমাণ করেন আবু হায়দার রনি। ঘরের মাঠে নিজের প্রথম বলেই রানার খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ককে হারানো রাজশাহী ৫ ওভারের খেলায় সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার আগেই আবারও হোঁচট খায়।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আরিফ আহমেদ। হাবিবুর রহমান সোহানকে ২ রানে ও সাব্বির হোসেনকে এই পেসার ফেরান ৪ রানে। তবে সাব্বির রহমান ও মেহরব হোসেন অহিন মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় থাকেন।
তবে নিজ শহরের মাঠে দর্শকদের হতাশ করেননি সাব্বির। ইনিংসের শেষ ওভারে শহিদুল ইসলামকে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে রাজশাহীকে ৫০'র ঘরে নিয়ে যান তিনি। ১৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটারের কল্যানে রাজশাহী পুঁজি পায় ৬০ রানের।
৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টায় ছিলেন ঢাকা দুই ওপেনার নাইম ও মাহফিজুল ইসলাম রবিন। তবে রাজশাহী বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নাইম।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আসাদউজ্জামান পায়েলকে উইকেট দিয়ে বসেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিজের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান। তবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে তিনিও ফেরেন ৪ বলে ৬ রান করে। রিয়াদ বিদায় নিলেও রবিন দ্রত রান তুলতে থাকেন।
শেষ ১০ বলে ২৫ রান প্রয়োজন হলে শফিকুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনেন আবু হায়দার রনি। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে রনি ফিরে গেলেও সে সময় দলের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। নাহিদ রানাকে জোড়া চার হাঁকিয়ে ঢাকাকে জয়ের কাছে নিয়ে যান রবিন। তৃতীয় বলে ২ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটার, অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ৩০ রানে।