তিন ভেন্যুতে এনসিএল টি-টোয়েন্টি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে নেই ম্যাচ

ঘরোয়া
তিন ভেন্যুতে এনসিএল টি-টোয়েন্টি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে নেই ম্যাচ
বিসিবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
দেশের তিনটি ভেন্যুতে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি আয়োজনে কদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) প্রস্তাব দেয় টুর্নামেন্ট কমিটি। ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রস্তাবে রাজী হয়েছে বিসিবি। আকরাম খান নিশ্চিত করেছেন তিনটি ভেন্যুতেই হচ্ছে ২০ ওভারের ঘরোয়া টুর্নামেন্টটি। ভেন্যু হিসেবে সিলেটের পাশাপাশি রাজশাহী ও বগুড়াকে চূড়ান্ত করেছে তারা।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পথচলা শুরুর আগে ২০১০ সালে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজন করে বিসিবি। তবে পরবর্তীতে এক যুগের বেশি সময় মাঠে গড়ায়নি টুর্নামেন্টটি। টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা ও খেলোয়াড়দের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০২৪ সালে নতুন করে এনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরু করে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। এনসিএল টি-টোয়েন্টির গত মৌসুমের পুরোটা হয়েছে সিলেটে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সঙ্গে সিলেটের গ্রাউন্ড টুতেও হয়েছে ম্যাচ। একই ভেন্যুর দুইটি মাঠে টানা খেলার হওয়ার ফলে শেষের দিকে এসে বড় রান দেখা যায়নি। যার ফলে নতুন মৌসুম ভেন্যু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। আগামী মৌসুমের জন্য গ্রাউন্ডস কমিটির কাছে তিনটা ভেন্যু চেয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। শেষ পর্যন্ত সেটা মঞ্জুর হয়েছে। তিন ভেন্যুতেই এনসিএল আয়োজনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন আকরাম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের লম্বা একটা সভা হয়েছে। কারণ, ভেন্যু পাওয়াটা আসলে কঠিন ছিল। একই জায়গায় দুইটা মাঠ দরকার। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আমরা এখন সেটা চিন্তা করেছি বগুড়া, রাজশাহী এবং সিলেট—এই তিনটা জায়গায় আমরা করব। এটাই এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ভেন্যু হিসেবে বগুড়া ও রাজশাহীকে বেছে নেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে আকরাম বলেন, ‘ওদের তো বিপিএল নিয়ে অনেক চাহিদা আছে, ওরা সবসময় বলে। আমরা চেষ্টা করেছি ক্রিকেটটা যেন সারা বাংলাদেশে হয়, ভালো জায়গায় হয়। বগুড়ায় কিন্তু অনেকগুলো ম্যাচ হয়েছে, সেটা আমাদের মাথায় আছে। তারপর রাজশাহীতে প্রচুর ক্রিকেট সমর্থক আছে। রাজশাহী থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড়ও আসছে।’

কদিন আগেই আকরাম নিজে জানিয়েছিলেন, এনসিএল টি-টোয়েন্টির ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। যদিও সেটা শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতে এম এ আজিজকে বিবেচনা করলেও ফ্লাডলাইট ও উইকেটের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে বিসিবি। এদিকে বগুড়ার মাঠের পরিস্থিতি দেখতে ঢাকা থেকে গ্রাউন্ডসম্যান পাঠাচ্ছে তারা। তাদের কাছে বিস্তারিত শুনে মাঠের কাজ করবে বিসিবি।

আকরাম বলেন, ‘এজন্যই আমরা প্রথমে এম এ আজিজের কথা চিন্তা করেছিলাম। সেখানে মাঠ ছিল কিন্তু লাইটের সমস্যা ছিল। এম এ আজিজে হয়ত আমরা ওরকম উইকেট পাব না, সেজন্য আমরা ওইটা বাতিল করেছি। বগুড়ায় যেটা শুনলাম মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে। যেহেতু আমাদের হাতে এখনো প্রায় ৪০ দিনের মতো সময় আছে গ্রাউন্ডস থেকে কালকে গ্রাউন্ডসম্যানরা যাবে। ওরা দেখে আমাদের আপডেট দেবে।’

গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো দিনের বেলা হলেও দিবা-রাত্রির সেমিফাইনাল ও ফাইনাল আয়োজন করতে চায় বিসিবি। তিনি বলেন, ‘সিলেটে আমাদের দিবা-রাত্রির একটা পরিকল্পনা আছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হয়ত আমরা দিবা-রাত্রির করব, সেটার জন্যই সিলেটে আমরা পরিকল্পনা করেছি।’

আরো পড়ুন: এনসিএল টি-টোয়েন্টি