আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তেজনা হারিয়ে যাওয়ার কারণ জানা নেই শান্তর

ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন শান্ত, ক্রিকফ্রেঞ্জি

লিগের পয়েন্ট টেবিলের নিরিখেও এই ম্যাচটি এবার বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখনও পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মোহামেডান। আবাহনীকে হারাতে পারলে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান হবে। ফলে এই ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকে সুপার লিগে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা তৈরি করবে তাওহীদ হৃদয়ের দল।
৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর আবাহনীকে হারাল মোহামেডান
১৮ ঘন্টা আগে
আবাহনী-মোহামেডানের লড়াই ঠিক আগের মতো থাকলেও সেই আমেজটা নেই। দর্শকদের আগ্রহও থাকে না এই ম্যাচ নিয়ে। তবে আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর চাওয়া দর্শকরা আবারও আগের মতো ক্রিকেটারদের সমর্থন দিতে আসবেন এমন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে। তবে দর্শকদের আগ্রহ হারিয়ে যাওয়ার কারণ অজানা শান্তর।
মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপাকালে শান্ত বলেছেন, 'আশা তো থাকে উত্তেজনাটা থাকুক। হ্যাঁ, সত্য আগের মতো ওই উত্তেজনা নেই। আগের মতো হয়ত মোহামেডান-আবাহনীর খেলা দর্শকরা দেখতেও আসে না। কিন্তু আমি যখন শুরু করেছিলাম ২০১৫-১৬ সালের দিকে তখনও দেখতাম গ্যালারিতে কিছু মানুষ আসতেন।'

দ্রুত ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনাতেই ইমনের ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি
৮ এপ্রিল ২৫
`ওই জিনিসটা কমার কারণ আমার কাছে আসলে উত্তরটা নাই। কিন্তু আমার মনে হয় এখনও আবাহনী-মোহামেডানের খেলা যখন হয় ওইরকম উত্তেজনা তো থাকে খেলোয়াড়দের মাঝে। খেলোয়াড়রা যেমন রোমাঞ্চিত থাকে, আমার মনে হয় দর্শকরাও থাকে। খেলা কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক হয়। আমি আশা করব দর্শকরা আগে যেভাবে আসতেন ওইভাবে এই ম্যাচটা আসবেন এবং খেলোয়াড়দের সাপোর্ট করবেন।'
শান্ত জানিয়েছেন ছোট থেকেই আবাহনী-মোহামেডানের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। আবাহনীতে খেলার আশা পূরণ হয়েছে আগেই। তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন এই তারকা ব্যাটার। এখন তিনি দলটির অধিনায়ক। তবে এখনও মোহামেডানে খেলার সুযোগ হয়নি শান্তর। এই দুই দলের লড়াইয়ের আগে তাই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন তিনি।
শান্ত বলেছেন, 'সত্যি বলতে দুই দল নিয়েই আমার আইডিয়া ছিল এরকম দুইটা দল আছে আবাহনী এবং মোহামেডান। আমার ছোটবেলা থেকেই একটা ইচ্ছা ছিল—এ দুই দলে একদিন খেলব। আমি আবাহনীর ফ্যান বা মোহামেডানের ফ্যান জিনিসটা এরকম না। এই দুই দলের মধ্যে খেলার একটা ইচ্ছা ছিল। এই দুই দল যেভাবে খেলতো লিগটা, যেভাবে প্রতি বছর খেলা হয়।'
`অনেক দল আছে কিন্তু এই দুই দলেরই নাম শোনা যেতো, রেজাল্ট করুক আর না করুক। তো ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল এই দুই দলের ভেতরে যেকোনো একটা দলে তো খেলতে চাই। ভাগ্যক্রমে, আলহামদুলিল্লাহ আবাহনীতে খেলতে পারছি। অনেক বছর ধরে। উপভোগ করছি।'