এক ফরম্যাট খেলি বলে চাপ কম, এটা বললে ভুল হবে: শেখ মেহেদী

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ করে পাকিস্তানে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে বাংলাদেশ। কোনো প্রকার চোটে না পড়লেও পাকিস্তান সফরে নিশ্চিতভাবেই থাকবেন মেহেদী। শুধুমাত্র ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলায় প্রতি বছরই এমন লম্বা সময়ের বিরতি দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হয় ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ম্যাচ খেলার সংখ্যার দিকে তাকালেই সেটা স্পষ্ট।
নক আউটে চলে এসেছি, এটা ডু অর ডাই: মেহেদী
২ ফেব্রুয়ারি ২৫
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া মেহেদী এখন পর্যন্ত ৭ বছরে খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ। অর্থাৎ প্রতি বছরে ৭.৭১ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মাঝে ওয়ানডে খেললেও চার বছরে মেহেদী ম্যাচের সংখ্যা মাত্র ১১টি। অনেকের ধারণা, জাতীয় দলের হয়ে একটি সংস্করণে খেলায় খুব বেশি চাপে থাকতে হয় না তাকে। যদিও এমন কিছু অস্বীকার করেছেন তিনি। মেহেদী জানান, নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না থাকায় প্রতি সিরিজের আগে সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে হয় তাকে।
ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে মেহেদী বলেন, ‘একটা ফরম্যাট খেলি বলে চাপ কম এটা বললে ভুল হবে। আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলি, আমার হয়ত প্রতি মাসে আমার টি-টোয়েন্টি খেলা থাকে না। যেহেতু গ্যাপ দিয়ে দিয়ে খেলতে হয় তাই আমাকে সবকিছু নতুন করে শুরু করে খেলতে হয় জাতীয় দলে। যারা তিন সংস্করণ খেলে তাদের জন্য ভালো।’

‘দেখুন, আমি সবশেষ ডিসেম্বরে ম্যাচ খেলেছি আবার হয়তবা যদি সুস্থ থাকি কিংবা আমাকে যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে মে-জুনে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব। এর মাঝে ৫-৬ মাসের গ্যাপ, আমাকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। এটা আসলে কঠিন।’
বোলিং পরীক্ষায় পাশ সাকিব
১৯ মার্চ ২৫
নিজের কথা বলতে গিয়ে মুমিনুল হকের উদাহরণও দিয়েছেন মেহেদী। সবশেষ কয়েক বছরে টেস্ট ম্যাচ খেলার সংখ্যা বাড়লেও একটা সময় বছরে হাতেগোনো কয়েকটা সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলতো বাংলাদেশ। ফলে বছরের বেশিরভাগ সময়ই মাঠের বাইরে থাকতে হতো মুমিনুল। প্রায় একই চিত্র সাদমান ইসলামেরও। মাঝে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও সেটার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তর পার্থক্য আছে বলে জানান মেহেদী।
তিনি বলেন, ‘আমার কথাই শুধু বলছি না যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলে যেমন সৌরভ (মুমিনুল হক) শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলে। আগে তো টেস্ট ম্যাচ এত ছিল না তার কাছে এরকম নতুনই লাগতো। এই জিনিসটা ধরে রাখা অনেক কঠিন। যারা তিন সংস্করণে খেলে তারা কিন্তু একটা প্রক্রিয়াতে খেলতে পারে। তিন সংস্করণ খেলা মানে প্রতি মাসেই কোনো না কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকে।’
‘তারা মানসিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললাম ডিসেম্বরে আবার খেলব মে-জুনে। পাঁচ-ছয় মাসের একটা বিরতি। এর মধ্যে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছি। ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য কিন্তু অনেক।’