‘কিছু লোক সবসময়ই ছিচকাঁদুনে’, সমালোচকদের গম্ভীরের কড়া জবাব

ছবি: ভারতের ম্যাচ দেখছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর, ফাইল ফটো

কয়েকদিন আগে ভারতকে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। একই ভেন্যুতে খেলার কারণে ভারতের সুবিধা বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর এ নিয়ে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিভ জাভেদও।
এই মুহূর্তে রাহুলকে ভারতের এক নম্বর কিপার বলছেন গম্ভীর
১৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের সূত্র ধরে ধারাভাষ্য কক্ষে এমন মন্তব্য করতে দেখা গেছে নাসের হুসেইন, মাইকেল আথারটনসহ অন্যান্য অভারতীয় ধারাভাষ্যকারদেরও। প্রায় একই সুরে মন্তব্য করেন সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার র্যাসি ভ্যান ডার ডাসেনও।
অন্য সব দলকেই যেখানে ভেন্যু থেকে ভেন্যু, এমনকি শহর থেকে শহরে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে, ভারত সেখানে একই শহরে একই হোটেলে থেকে একই মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এসবের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ, পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে আইপিএল বর্জন করতে বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হকও।

সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর গম্ভীর বলেন, 'প্রথম কথা হলো, এটা আমাদের জন্য ততটাই নিরপেক্ষ ভেন্যু, যতটা অন্যদের জন্য অন্য ভেন্যু। আমার তো মনেও নেই, সবশেষ কবে কোন টুর্নামেন্টে আমরা এখানে খেলেছিলাম! এই যে এত বিতর্ক চলছে যে, অন্যায্য সুবিধা এবং আরও নানা কিছু… কিসের অন্যায্য সুবিধা? এখনও পর্যন্ত তো আমরা এখানে (মূল মাঠে) একদিনও অনুশীলন করিনি।'
‘পাকিস্তানের ভয়ে শারজাহ থেকে পালিয়েছিলেন গাভাস্কার’
৬ ঘন্টা আগে
'অনুশীলন তো আইসিসি একাডেমিতে করছি। ওখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে এখানকার কন্ডিশনের পার্থক্য ১৮০ ডিগ্রি! ওখানকার উইকেট ও এখানকার উইকেটের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। কিছু লোক সবসময়ই ছিচকাঁদুনে। তাদের উচিত পরিণত হওয়া। আমার মনে হয়, আমাদের কোনো অন্যায্য সুবিধা পাওয়া বা সেভাবে পরিকল্পনা করার মতো কিছু হয়নি।'
গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতেছে ভারত। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল দলটি। এবার অজিদের হারিয়ে ফাইনালও দুবাইতেই খেলবে ভারত। দলটির ১৫ জনের স্কোয়াডে বিশেষজ্ঞ স্পিনার মোট পাঁচজন, যাদের প্রত্যেকেই জয়ে বড় অবদান রাখছে।
এ নিয়ে গম্ভীর বলেন, 'সত্যি বলতে, এই ধরনের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমরা দুজন ফ্রন্ট লাইন স্পিনার খেলিয়েছি, বাকি দুজন অলরাউন্ডার। পাকিস্তানে খেললেও এটিই করতাম। স্পিনের জাল বিছিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাপার ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে তো স্রেফ একজন মাত্র ফ্রন্ট লাইন স্পিনার ছিল, পরের দুই ম্যাচে দুজন নিয়েছি।'