সেমি ফাইনালে সাউথ আফ্রিকা, আফগানদের বিদায়

ছবি: সহজ জয়ে সেমি ফাইনালে সাউথ আফ্রিকা

অথচ ইংল্যান্ডকে দুইশ’ই ছুঁতে দিলেন না মার্কো জানসেন, উইয়ান মুল্ডার, কেশভ মহারাজরা। তাদের দাপুটে বোলিংয়ের সঙ্গে জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলারদের বাজে ব্যাটিংয়ে ইংলিশরা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৭৯ রানে। ফলে সাউথ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নামার আগেই সেরা চারে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়েছে আফগানিস্তানের। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত দুটি উইকেট হারালেও হেনরিখ ক্লাসেন ও রাসি ভ্যান ডার ডাসেন মিলে সাউথ আফ্রিকার ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন ১২৫ বল বাকি থাকতেই।
‘স্টোকসকে অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা না করা হবে বোকামি’
৭ মার্চ ২৫
দুই জয় ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাউথ আফ্রিকা। ‘বি’ গ্রুপ থেকে একদিন আগেই সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেরা চারে সাউথ আফ্রিকা কাদের বিপক্ষে খেলবে সেটা জানতে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে হারা দলের সঙ্গেই সেমি ফাইনাল খেলবেন মার্করাম-টেম্বা বাভুমারা। ম্যাচটি দুবাইয়ে হবে নাকি লাহোরে হবে তা নির্ভর করবে ভারতের জয়-পরাজয়ের উপর।
করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে ১৮০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি সাউথ আফ্রিকার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি ট্রিস্টান স্টাবস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জফরা আর্চারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে একটু সময় নিয়ে ডিপ থার্ডম্যান দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হতে হয় স্টাবসকে। ৫ বল খেলা ডানহাতি ব্যাটার ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটন আউট হয়েছেন পাওয়ার প্লে শেষের আগেই।

আর্চারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ২৭ রান করা রিকেলটন। ৪৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন ভ্যান ডার ডাসেন ও ক্লাসেন। তারা দুজনে মিলে যোগ করেছেন ১২৭ রান। যেখানে ডাসেন ও ক্লাসেন দেখা পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির। ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা ক্লাসেন ৬৪ রানে আউট হয়েছেন আদিল রশিদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। তবে ৭২ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ডাসেন অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানের ইনিংস খেলে। তাদের দুজনের ব্যাটেই ১২৫ বল বাকি থাকতেই সাউথ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত হয়।
পিএসএলকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে আইপিএলে খেলবেন বশ
৮ মার্চ ২৫
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জানসেনের অফ স্টাম্পের বাইরে করা ডেলিভারিতে চার মেরে শুরু করলেন ফিল সল্ট। পরের দুই বলেও একই চেষ্টা করলেও সেটা করে উঠতে পারেননি তিনি। ডানহাতি ওপেনার চতুর্থ বলে চার মেরেছেন মিড উইকেট দিয়ে। বেশি আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে ওভারের শেষ বলে নিজের উইকেট দিয়ে গেছেন সল্ট। বাঁহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ভ্যান ডার ডাসেনের হাতে। দুই চার মারা সল্ট আউট হয়েছেন ওই ৮ রানেই।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে জেমি স্মিথের উইকেটও নিয়েছেন জানসেন। বাঁহাতি পেসারের খানিকটা খাটো লেংথের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে স্মিথও আউট হয়েছেন একইভাবে। পাওয়ার প্লে শেষের আগে বেন ডাকেটের উইকেটও নিয়েছেন জানসেন। প্রোটিয়া পেসারকে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে জানসেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২১ বলে ২৪ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। তিন উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলে ইংল্যান্ড।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন রুট ও হ্যারি ব্রুক। দুজনে মিলে ইংল্যান্ডকে কিছুটা সময় টেনেছিলেন। তবে দলের রান একশ হওয়ার আগেই ফিরেছেন ব্রুক। স্পিনার মহারাজের বলে ডিপ মিড উইকেট ক্যাচ দিয়ে গেছেন ১৯ রান করা এই ব্যাটার। একটু পর আউট হয়েছেন ৩৭ রান করা রুটও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
মহারাজের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন ৯ রানে। জেমি ওভারটনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। বিশেষজ্ঞ ব্যাটাররা না পারলেও শেষের দিকে ২৫ রান করেছেন আর্চার। অধিনায়ক হিসেবে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে মেনে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক আউট হয়েছেন লুঙ্গি এনগিদির বলে মহারাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। জানসেন, মুল্ডার ও মহারাজদের বোলিংয়ে মাত্র ১৭৯ রানে অল আউট হয়েছে ইংল্যান্ড।