সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে আফগানিস্তান

ছবি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

দুই ইনিংসেই ২০ ওভার খেলা না হওয়ায় পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে। এক পয়েন্ট পাওয়ায় ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়ার। এক জয় পাওয়া আফগানিস্তানের পয়েন্ট তিন। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছেন রশিদ খানরা। সেমিফােইনালে যেতে ইংল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানদের।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওমরজাই
৫ মার্চ ২৫
৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থাকা সাউথ আফ্রিকার পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করাচিতে। জস বাটলারদের হারাতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠবে প্রোটিয়ারা। হারলেও অবশ্য সেরা চারে যাওয়ার বড় সুযোগ থাকবে তাদের হাতে। ৩০১ রান তাড়ায় সাউথ আফ্রিকা যদি ২০৭ রানে হেরে যায় তাহলেই কেবল বাদ পড়বে তারা। এমন অবস্থায় সেমিফাইনালে উঠবে আফগানিস্তান। তবে রান রেটে অনেক পিছিয়ে থাকায় রশিদ, মোহাম্মদ নবিদের সেরা চারে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা চলে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন ট্রাভিস হেড ও ম্যাথু শর্ট। ইনিংসের শুরুতেই ক্যাচ ছেড়ে তাদের দুজনকে জীবন দিয়েছেন রশিদ ও নাঙ্গোলিয়া খারোটে। জীবন পেয়েও অবশ্য ২০ রানের বেশি করতে পারেননি শর্ট। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দারুণ এক ডেলিভারিতে লং অনের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে গুলবাদিন নাইবকে ক্যাচ দিয়েছেন।
শর্ট ফেরার পর স্মিথকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টানতে থাকেন হেড। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ৮ চার ও একটি ছক্কায় মাত্র ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি ওপেনার। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ১২ ওভারে দলের রান একশ ছুঁয়েছে তারা। তবে ১২.৫ ওভারের সময় হানা বৃষ্টি। ফলে এক উইকেট ১০৯ রান নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যেতে হয় হেড ও স্মিথকে। সেই সময় হেড ৫৯ ও স্মিথ অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে। বৃষ্টির কারণে খেলা চালানো সম্ভব না হওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে।

পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো বিশ্লেষণ করা আপনাদের কাজ: কোহলি
৫ মার্চ ২৫
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্পেন্সার জনসনের প্রতি ঘণ্টায় ১৪১ কিলোমিটার গতির দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছেন গুরবাজ। বাঁহাতি পেসারের ইয়র্কার বুঝতে না পেরে খানিকটা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রানের খাতা খুলতে না পারা আফগান ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেটে সেকিদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইব্রাহিম। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে আফগানিস্তানকে ৫৪ রান এনে দেন তারা দুজন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। ডানহাতি লেগ স্পিনারের ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে কাট করতে গিয়ে ল্যাবুশেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। আগের ম্যাচে দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস খেলা ইব্রাহিমকে ফিরতে হয় ২২ রানে। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রহমত। অফ স্পিনার ম্যাক্সওয়েলের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটকিপার ইংলিসকে ক্যাচ দিয়েছেন।
রহমতের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১২ রান। একশর আগে তিন উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে এগিয়ে নেন সেদিকউল্লাহ ও শহীদি। তারা দুজনে মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। মাঝে ৬৪ বলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সেদিকউল্লাহ। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে সেদিকউল্লাহকে একশ ছুঁতে দেননি জনসন। বাঁহাতি পেসারের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮৫ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। একটু পর ফিরেছেন অধিনায়ক শহীদিও।
জাম্পার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ল্যাবুশেনকে ক্যাচ দিয়েছেন ২০ রান করা এই ব্যাটার। পরবর্তীতে নবি, গুলবাদিন নাইবরা ফিরেছেন দ্রুতই। ১৭ বলে ১৯ রান করে আফগানিস্তানের রান বাড়িয়ে চেষ্টা করেছেন রশিদ। তবে আফগানদের হয়ে শেষের দিকে রানটা বাড়িয়ে নিয়েছেন ওমরজাই। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ওমরজাই শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। আফগানিস্তানের ২৭৩ রানের দিনে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বেন ডোয়ারশিস তিনটি এবং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জনসন ও জাম্পা।