আফগানিস্তানকে হারিয়ে লাহোরের দর্শকদের চুপ করাতে চান ল্যাবুশেন

ছবি: ব্যাটিং অনুশীলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্নাস ল্যাবুশেন, ফাইল ফটো

সহজ সমীকরণ মাথায় নিয়ে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান। জিতলেই নিশ্চিত সেমিফাইনালের টিকেট। একপ্রকার অলিখিত কোয়াটার ফাইনালই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে দুই দলের। আর সেই ম্যাচের আগে ল্যাবুশেন জানালেন তাদের পরিকল্পনা।
আফগানিস্তানকে হারিয়ে লাহোরের দর্শকদের চুপ করাতে চান ল্যাবুশেন
২৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
পাকিস্তানের মাঠে আফগানিস্তানের সমর্থক অনেক বেশি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'আমরা জিততে চাই এবং দর্শকদের চুপ করিয়ে দিতে চাই। তবে আমাদের জন্য এটা নিশ্চিত করা জরুরি যে, আমরা আমাদের প্রক্রিয়ায় স্থির আছি এবং খেলায় সম্পৃক্ত আছি। খেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে এবং পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমাদের সেরাটা খেলতে হবে।'
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো রেকর্ড গড়ে হারিয়েছে আফগানরা। দেশটির অনেক শরণার্থীর বাস এই পাকিস্তানে। তাই সেই ম্যাচে গ্যালারীতে দেখা গিয়েছিলো প্রচুর আফগানিস্তানের সমর্থক। একই মাঠে খেলা অস্ট্রেলিয়ার সাথেও। তাই স্বাভাবিকভাবেই, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও গ্যালারীর সমর্থন পাবে আফগানরাই। তবে বিষয়টি নিয়ে একদমই বিচলিত নন অজি এই ব্যাটার।

এদিকে এই ম্যাচ ভেস্তে যাবার সম্ভাবনাও আছে। বৃহস্পতিবার লাহোরে বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়াকে অনুশীলন করতে হয়েছে ইনডোরে। বৃষ্টি হতে পারে ম্যাচের মাঝেও। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যাক্ত হলে হবে পয়েন্ট ভাগাভাগি। সেক্ষেত্রে ১ পয়েন্ট বেশি থাকায় সেমিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তবে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নয়, জিতেই সেমিতে পা রাখতে চান ল্যাবুশেনরা।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওমরজাই
৫ মার্চ ২৫
তিনি আরও বলেন, 'খেলোয়াড় হিসেবে আমরা সবসময় খেলতে চাই। অবশ্যই যদি পুরো ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে যায়, তাহলে আমরা সেমি-ফাইনালে যাব। তবে আমরা ম্যাচটি জিততে চাই এবং তালিকায় শীর্ষে থাকতে চাই। নিশ্চিত করতে চাই যে, সেমি ফাইনালের আগে আমাদের সকল ম্যাচ জিতেছি। কিন্তু বৃষ্টির মতো ব্যাপারগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।'
সর্বশেষ আফগানিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিলো ২০২৩ বিশ্বকাপে। আফগানদের দেয়া ২৯২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ নাকানি চুবানি খেতে হয়েছিলো ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, ল্যাবুশেনদের। যদিও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দানবীয় ডাবল সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের লড়াকু ইনিংসের উপর ভর করে ম্যাচ জিতে অজিরা।
এর পর আবারো দুই দল মুখোমুখি হলে জয়ের দেখা পায় আফগানরা। যদিও সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ভিন্ন ফরম্যাটে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২১ রানের সেই জয়ে অবাক হয়েছিলো পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।