প্রায় দুই যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সাকিব প্রথমবারের মত দেখেন বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ার মত ঘটনা। সেবার সারের হয়ে সাকিব বল করেছিলেন ৬৩.২ ওভার। পাকিস্তানে দুই টেস্টে বোলিংয়ের পর ইংল্যান্ডে লম্বা সময় বোলিং; সবমিলিয়ে বেশ ক্লান্তই ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
সম্প্রতি সাকিব কথা বলেছেন বিয়ার্ড বিফর উইকেট পডকাস্টে। আর সেখানেই সাকিব জানান, ইচ্ছা করেই এমন অ্যাকশনে বল করছিলেন তিনি। তাই আম্পায়াররা রিপোর্ট করার পরেও, করেননি প্রতিবাদ।
সাকিব বলেন, 'আমার মনে হয় আমি কিছুটা ইচ্ছে করেই অমন অবৈধ অ্যাকশন করেছিলাম। কারণ এক ম্যাচে আমি ৭০ ওভারের বেশি বল করেছিলাম। আমার ক্যারিয়ারে কোনো টেস্ট ম্যাচে আমি এত বল করিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাক-টু-ব্যাক টেস্ট খেলে গিয়েছিলাম কাউন্টি খেলাতে আমি প্রচণ্ড ক্লান্ত ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম আম্পায়ার অন্তত আমাকে প্রথমে সতর্ক করবেন। কিন্তু নিয়মে রিপোর্ট করার এখতিয়ার তাদের আছে। তাই আমি অভিযোগ করিনি।'
সাকিবের সেই বোলিং অ্যাকশন বিতর্ক ঘটনার পর তাকে দিতে হয় বোলিং পরীক্ষা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যাণ্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা দিয়েও করতে পারেননি পাশ। পরিক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়ে ইসিবি ও আইসিসির টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ হন সাকিব। পরে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয়বার পরিক্ষা দিলেও ফলাফল হয় একই।
আবারো ব্যর্থ হন সাকিব, যার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও বাংলাদেশ দলের জন্য বিবেচনা করা হয়নি তাকে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে তৃতীয় পরীক্ষায় পাস করে আবারও বোলিংয়ের অনুমতি পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সারের সহযোগিতায় মাত্র দুটি সেশনেই তিনি নিজের অ্যাকশন শুধরে নিয়েছিলেন বলে সেই পডকাস্টে জানান সাকিব।
তবে এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যোমে বহুবার সাকিব জানিয়েছিলেন এমন বোলিং অ্যাকশনের পেছনে নিজের বক্তব্য। দেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই অলরাউন্ডার জানান প্রচন্ড ঠান্ডা, আঙুলে ব্যথা আর টানা এতো ওভার বোলিং করার কারণে পরিবর্তন হয়েছিলো অ্যাকশনের।