শামীমকে বাদ দেয়ার বিষয়টি আমাকে আর কোচকে জানানো হয়নি: লিটন

বাংলাদেশ
শামীমকে বাদ দেয়ার বিষয়টি আমাকে আর কোচকে জানানো হয়নি: লিটন
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন লিটন দাস, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন শামীম পাটোয়ারি। তবে বাদ পড়ার বিষয়টি অধিনায়ক লিটন দাসকে আগে জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক কমিটি। আয়ারল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন লিটন।

প্রতিটি সিরিজের দল দেয়ার আগেই সাধারণত কোচ এবং অধিনায়কের সঙ্গে বৈঠক করে থাকেন নির্বাচকরা। সেই বৈঠকে নির্বাচকরা অধিনায়ককে জানিয়ে দেন কারা দলে জায়গা পাচ্ছেন বা কারা বাদ পড়ছেন। যদিও এবারের সিরিজের আগে এমনটা হয়নি বলে দাবি লিটনের।

গণমাধ্যমকে লিটন বলেন, 'এটা আমার কল ছিল না। পুরোপুরি নির্বাচকদের কল। আমি জানি না কেন, কিন্তু নির্বাচকরা আমাকে কোনো কিছু নোটিশ ছাড়াই শামীমকে বাদ দিয়ে দিয়েছে টিম থেকে। কোনো নোটিশ ছাড়াই। আমি এতদিন জানতাম যে, একটা টিম যখন মানুষ হ্যান্ডেল করে, এটলিস্ট ক্যাপ্টেন জানে যে কোন প্লেয়ারটা ঢুকবে বা কোন প্লেয়ারটা বের হবে।'

'আমি আশা করি যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা প্লেয়ারই সেরা প্লেয়ার। যার জন্য ন্যাশনাল টিমে আসে। যেই ১৫ জনই সিলেক্ট হবে না কেন, তারাই ভালো করবে। কিন্তু আমি শামীমের বাদ হওয়ার পিছনে কোনো কারণ আমি দেখি না। আর আমি কখনও... আমি এটা নোটিশও পাইনি যে কেন সে বাদ পড়েছে। ও টিমে থাকলে ভালো হতো।'

এই সিরিজের আগেই অবশ্য লিটনকে বলা হয়েছিল, যে দলটি তাকে দেয়া হবে সেই দলটিকে নিয়েই যেন মাঠে ভালো ফলাফল এনে দেন। সংবাদ সম্মেলনে পুরো বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আক্ষেপ ছিল লিটনের কণ্ঠে।

তিনি আরো বলেন, 'আমাকে বলা হয়েছে সিলেক্টর প্যানেল থেকে এবং বোর্ড থেকে যে, আমাকে যে টিমটা দেয়া হবে, সেই টিমটা নিয়েই কাজ করতে হবে। তাই আমার কোনো বলার কিছু থাকবে না যে আমি কোন প্লেয়ারটাকে চাই, কোন প্লেয়ারটাকে না চাই।'

'এতদিন জানতাম যে, এজ এ যখন ক্যাপ্টেন হয় মানুষ, তার একটা টিম গোছানোর একটা প্ল্যানিং থাকে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক দিন আগেই জানতে পারলাম যে, যে টিমটা আমাকে দেয়া হবে, আমার কাজ হচ্ছে সেই টিমটাকে নিয়ে ভালো কিছু দেয়া মাঠে।'

পুরো বিষয়টিকে অপমানজনক হিসেবে বিবেচনা করছেন না লিটন। তবে অধিনায়ক এবং কোচকে না জানানোর ব্যাপারটি নিয়ে রীতিমতো হতবাক তিনি। বিরক্ত হয়েই জানিয়েছেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যদি একই ঘটনা ঘটে, তাহলেও সেরা একাদশ বেছে নিয়ে মাঠে নামবেন তিনি।

'অপমানের জায়গা বলব না। আমার মনে হয় কোচ এবং ক্যাপ্টেনের জানা উচিত। সেই জায়গা থেকে আমরা কিছুই জানি না। যদিও বিশ্বকাপেও একই জিনিস ঘটে, আমাকে যে টিমটা দেয়া হবে আমি সেই দলটা নিয়েই চেষ্টা করব ইলেভেন খেলার।'

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের হয়ে ছন্দে নেই শামীম। চলতি বছর ২৪টি ম্যাচ খেললেও একটি হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি তিনি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাম্বুলায় ২৭ বলে ৪৮ এবং এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ বলে অপরাজিত ৪২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন তিনি।

নিকট অতীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৫ বলে ৩০ এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২ বলে ৩৩ রানের দুটি ইনিংসও আছে তার। সেই অর্থে ফর্মে না থাকলেও অধিনায়কের পুরোপুরি সমর্থন পাচ্ছেন এই ফিনিশার। দলের সব ব্যাটারের ব্যাটে প্রতি সিরিজে রানের প্রত্যাশাও করেন না লিটন।

তিনি আরো বলেন, 'আপনি প্রত্যেকটা প্লেয়ারের কাছে প্রতি সিরিজে পারফরম্যান্স আশা করতে পারবেন না। আমরা চেষ্টা করেছি এতদিন ধরে টিমটাকে গোছানোর জন্য। হোয়াই নট? শামীম কিন্তু একটা সময় ছিল যে, দুই-তিনটা সিরিজে খুব ভালো এক্সট্রা অর্ডিনারি ক্রিকেট খেলেছে, যেটা আমাদের দরকার ছিল। সেইখান থেকে যদি শামীম বাদ পড়ে, এটা শামীমের জন্যও হতাশাজনক।'

'এজ এ ক্যাপ্টেন আমিও, আই এম সরি ছাড়া আর কিছুই বলতে পারব না তাকে। কারণ আমি এক্সপেক্ট করি না কখনোই আমাকে ১৫টা প্লেয়ারই প্রতিদিন পারফর্ম করে দিবে। তাকে দুই-তিনটা সিরিজ যখন পারফর্ম করবে না, তাকে আমার ব্যাক দেওয়াটাও উচিত। আই এম রিয়েলি সরি যে আমি তাকে ব্যাক দিতে পারি নাই।'

আরো পড়ুন: লিটন দাস