সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন জয়। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রানও করেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টির মতো এনসিএল চারদিনের ম্যাচেও ছন্দ ধরে রেখেছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। সিলেট টেস্টে খেলতে যাওয়ার আগে চট্টগ্রামের হয়ে চার ইনিংসে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন জয়।
এমন পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে আইরিশদের বিপক্ষেও। সিলেটে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ১৬৯ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিলেন জয়। তবে তৃতীয় দিনের সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যারি ম্যাকার্থির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ পেলেও সেটা করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার।
১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ২৮৬ বলে ১৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। তবে ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হচ্ছে তাকে। জয় বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। একটু হতাশ কারণ আমার জীবনের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হতো যদি আমি ক্যারি করতে পারতাম। সুতরাং আমি বলব একটু হতাশ যে আমি শেষ পর্যন্ত ক্যারি করতে পারিনি।’
চলতি বছরের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট খেলেছিলেন জয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম টেস্টে সুযোগ হয়নি তাঁর। লম্বা সময় ধরে ভালো করতে না পারায় শ্রীলঙ্কা সফর থেকে বাদ পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে এক সিরিজ পর ফিরেই ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন তিনি। ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও প্রত্যাবর্তনে এমন ইনিংস খেলা খুশি জয়।
তিনি বলেন, ‘সবমিলিয়ে বলব আমি খুশি কারণ বেশ কয়েকদিন পর আমি দলে এসেছে এবং জাতীয় দলের হয়ে একটা বড় ইনিংস খেলতে পেরেছি। এখন বলব আমি খুশি। কিন্তু আগে যেটা বললাম যদি ডাবল সেঞ্চুরি হতো আরও একটু ভালো হতো। একটু হতাশ ওইদিক থেকে।’
সেই সঙ্গে জয় জানান, এনসিএল টি-টোয়েন্টির সেঞ্চুরি তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আসলে এনসিএল টি-টোয়েন্টির সেঞ্চরি থেকে আমি নিজেকে আরও বুস্টআপ করতে পেরেছি। কারণ ওইখানে খুব ভালো পারফর্ম হয়েছে। এরপর এনসিএল চারদিনের ম্যাচেও ভালো পারফর্ম ছিল। সুতরাং আমি চেষ্টা করেছি ওইখানে যেমন ইনিংসটা ক্যারি করতে পেরেছি, এখানে এসেও যেন একই কাজটা করি। ভিন্ন কিছু করব না, শুধু এনসিএলে যেভাবে খেলে এসেছি ওইভাবে ক্যারি করব।’