বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে দেখা যায়। বাইরের তারকা ক্রিকেটাররা অনেক সময়ই নিজেদের সমস্যা সমাধানে বিশেষ কোনো কোচের সঙ্গে কাজ করেন। বাংলাদেশে সেটা হয়েছে থাকে সোহেল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, তালহা জুবায়ের কিংবা মিজানুর রহমান বাবুলদের সঙ্গে। তবে সেই পথে ভিন্নতা এনেছেন সাদমান ও মুমিনুল হক।
নিজেদের ক্রিকেট উন্নতি করার পাশাপাশি সিডনির কন্ডিশন বুঝতে ক’মাস আগে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন তারা দুজন। মুমিনুল শুধু অস্ট্রেলিয়াতে গেলেও সাদমান অনুশীলন করেছেন ইংল্যান্ডের লর্ডসেও। ২৪০ পাউন্ড খরচে দুইটি সেশন করেছিলেন সাদমান। পরবর্তীতে মুমিনুলের সঙ্গে যোগ দেন হাথুরুসিংহের একাডেমিতে। প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার খরচে কয়েকটি সেশন করেছেন সাদমান।
বাংলাদেশের চাকরি হারানোর পর থেকে অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছেন হাথুরুসিংহে। সেখানে একটি একাডেমিও চালাচ্ছেন তিনি। হাথুরুসিংহের সঙ্গে কাজ করার পর থেকেই বেশ ছন্দে আছেন সাদমান। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার পর চারদিনের এনসিএলেও রান পেয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও করেছেন ৮০ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর সাদমানের কাছে জানতে চাওয়া হয় হাথুরুসিংহের সঙ্গে কী নিয়ে কাজ করেছেন।
সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাদমান বলেন, ‘ওখানে (সিডনি) যাওয়ার কারণ হচ্ছে, ওদের কন্ডিশন বুঝার চেষ্টা করা। সিডনি যেরকম পিচ, তা দেখার জন্যই যাওয়া। ও (হাথুরু) ছাড়া ওখানে যাওয়ার সুযোগ ছিল না, সেই কারণেই হাথুরুর কাছে যাওয়া হয়েছে। ওখানে গিয়ে তেমন কোনো টেকনিক্যাল কাজ করা হয়নি। শুধু ওর সঙ্গে কথা বলেছি—কীভাবে ব্যাটিং করা যায়, কীভাবে বড় ইনিংস গড়া যায়, কীভাবে খেলার ধরণ বদলানো যায়—এগুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে নিজেকে শাণিত করতে অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় পেসারদের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘না, এরকম (অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় পেসারদের খেলা) কিছুই হয়নি। ওইখানদের আবহাওয়াটা একটু বৃষ্টি ছিল, রোদ ছিল না। আমাদের বেশিরভাগ সময় ইনডোরেই ব্যাটিং করা হয়েছে।’
সবশেষ এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান। ছন্দ নিয়ে আয়ারল্যান্ড সিরিজ খেলা শুরু করা বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ৮০ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে একটা সময় সেঞ্চুরির পথেও ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তাঁর। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবারই ৮০ কিংবা ৯০ রানের ঘরে আউট হয়েছেন সাদমান। বাঁহাতি ওপেনার জানান, ভবিষ্যতে আবারও সুযোগ এলে সেঞ্চুরি করার চেষ্টা করবেন তিনি।
সেঞ্চুরি না পাওয়ার আফসোস নিয়ে সাদমান বলেন, ‘অবশ্যই, সেঞ্চুরি না হলে তো একটা আফসোস থাকে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ যতটুকু দিচ্ছেন ওইটা নিয়েই...। আমি চেষ্টা করব যদি পরবর্তীতে এরকম জায়গায় থিতু হতে পারি চেষ্টা করব বড় করার।’