দুবাইয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইসিসির ত্রৈমাসিক সভায় এই সুপারিশগুলো তোলে ধরে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ, যার নেতৃত্বে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার রজার টুজ। ধারণা করা হচ্ছে, আইসিসি বোর্ড ও প্রধান নির্বাহীদের কমিটি আগামী সভায় এগুলো অনুমোদন করবে।
দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেট না হওয়ার খবরটা স্বস্তি এনেছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোর জন্য। কারণ দুই স্তরের কাঠামো চালু হলে তারা থাকত নিচের স্তরে, ফলে শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সুযোগ কমে যেত।
দীর্ঘদিন ধরেই টেস্টে উন্নয়ন-অবনমনভিত্তিক দুটি স্তর চালুর আলোচনা চলছিল। এতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বেশি ম্যাচ খেলতে পারত, যা বাড়াত বাণিজ্যিক আয়। তবে পারফরম্যান্স খারাপ হলে নিচের স্তরে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনাও তাদের ভাবিয়েছে। সেই ঝুঁকি ও আর্থিক কাঠামোর জটিলতাই শেষ পর্যন্ত এই ভাবনা বাদ দেওয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে সবাইকে।
ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রস্তাব দিয়েছে ২০২৭–২০২৯ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকেও যুক্ত করার। এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলুড়ে দেশ ১২টি হলেও চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে ১০ দল। নতুন চক্রে সবার জন্য নির্ধারিত থাকবে ন্যূনতম ম্যাচসংখ্যা, যদিও তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
অর্থনৈতিক কারণে টেস্ট আয়োজন নিয়ে সমস্যা আছে আয়ারল্যান্ডের মতো দেশের। গত কয়েক বছরে তারা বেশ কিছু টেস্ট আয়োজনের পরিকল্পনা বাতিল করেছে। তবুও আইসিসি এখনই বাড়তি অর্থ সহায়তার কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
ওয়ানডে ক্রিকেটেও পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে আইসিসি। ২০২৮ সাল থেকে ফের চালু হতে পারে ওয়ানডে সুপার লিগ, যা ২০৩১ বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে। আগের মতোই দলসংখ্যা নির্ধারণ হয়নি, তবে ২০১৯ ও ২০২৩ বিশ্বকাপের মতো ১০ দলের টুর্নামেন্ট থেকে ২০২৭ ও ২০৩১ আসর হবে ১৪ দলের।
এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকবে ২০ দল নিয়েই, যদিও অনেক সহযোগী দেশ চাইছে একে ধীরে ধীরে ৩২ দল পর্যন্ত নেয়া হোক। তবে এতে রাজি নয় আইসিসি।