টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ নম্বরে। ২৭ ম্যাচে দলটির রেটিং ৬১। অপরদিকে আয়ারল্যান্ড আছে ১০ নম্বরে। পাঁচ নম্বরে দলটির রেটিং ৩০। টেস্ট ক্রিকেটে ২৫ বছর পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের।
অপরদিকে আয়ারল্যান্ড টেস্টে অনেকটাই নতুন। ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলটি এখন পর্যন্ত খেলেছে ১০টি টেস্ট। এর মধ্যে সাতটি টেস্ট হেরেছে তারা, জিতেছে তিনটিতে। বাংলাদেশের মতো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে তাই আনন্দিত বালবির্নি।
তিনি বলেন, 'আমরা খুব বেশি টেস্ট সিরিজ খেলি না যেখানে একাধিক ম্যাচ থাকে। আমার মনে হয় আমাদের টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে একবারই এমনটা হয়েছে, গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাই এখানে আসার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ, এমন একটা জায়গায় যেখানে খেলাটার প্রতি অনেক আবেগ রয়েছে, এবং দুটো টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারাটাও। আমার মনে হয় আমাদের একটা দারুণ রোমাঞ্চপূর্ণ দল আছে যারা কাল মাঠে নামার এবং নিজেদের দক্ষতা দেখানোর জন্য মুখিয়ে আছে।'
'বাংলাদেশ অবশ্যই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে, তাই তাদের মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনেক টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের বেশিরভাগ টেস্ট ক্রিকেট আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোর বিপক্ষে, যারা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নেই। তাই এই মানের দলের বিপক্ষে নিজেদের পরীক্ষা করাটা আমাদের দলগত উন্নতির জন্য এবং আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি তা দেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'
বাংলাদেশে এসে কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার পরীক্ষাও দিতে হচ্ছে আয়ারল্যান্ডকে। তুলনামূলক গরম কন্ডিশনে খেলতে হবে বালবির্নির দলকে। মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত আইরিশরা। বাংলাদেশে আসার আগে দুবাইতেও ক্যাম্পিং করেছে তারা।
বালবির্নি আরো বলেন, 'আমরা জানি টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য কী করতে হয়। আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে ভালো খেলতে হবে। তাই আমি মনে করি এখানে আমাদের আরও বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে। এখানকার আবহাওয়া আমাদের অভ্যাসের চেয়ে একটু বেশি গরম, তাই এটাও একটা বড় বিষয় হবে। কিন্তু আমি মনে করি, ছেলেরা টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বেশ আত্মবিশ্বাসী।'
'এই সফরের আগে আমরা এক সপ্তাহের জন্য দুবাইতে ছিলাম। দেশের বাইরে টেস্ট খেলতে আসার আগে আমরা কয়েকবার এমনটা করেছি। তাই ওই সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি মনে করি, একটি টেকসই টেস্ট দল তৈরির জন্য প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা খুবই জরুরি। আশা করি ভবিষ্যতে এমনটাই হবে।'