বাংলাদেশের অধিনায়কের সঙ্গে রিফাত বেগ, জাওয়াদ আবরার, কালাম সিদ্দিকী অ্যালিন, রিজান হোসেন এবং সামিউন বশির রাতুলও ফিরেছেন দ্রুতই। ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশের যুবারা। সেখান থেকে ১০৮ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন দেবাশীষ সরকার ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দুজনই।
আব্দুল্লাহ ৯২ বলে ও দেবাশীষ হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৫৮ বলে। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন নুরিস্তানি ওমরজাই। ৬১ বলে ৫১ রান করে ফেরেন দেবাশীষ। শেষের দিকে স্বাধীন ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে জেতানোর চেষ্টা করেন আব্দুল্লাহ। তবে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১৬০ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলে থামতে হয়েছে তাকে। চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪৭ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগান যুবারা।
আফগানদের ইনিংস প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন। এই পেসার ৫১ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন। পেতে পারতেন আরেকটি উইকেট। তবে শেষ ওভারে রাফিউজ্জামান রাফি ক্যাচ নিতে পারেননি ওয়াহিদুল্লাহ জাদরানের।
বাংলাদেশের হয়ে সাদ ইসলাম নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন স্বাধীন ইসলাম। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৬ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন ফয়সাল খান।
এর বাইরে উজাইরউল্লাহ নিয়াজি খেলেন ১০০ বলে ৭২ রানের ইনিংস। দলটির আর কোনো ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে জয়তুল্লাহ শাহীন রান আউট হলে আফগানিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায়।