সবশেষ আওয়ামীলীগ সরকারের মনোনীত সংসদ সদস্য হওয়ায় গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই দেশে ফিরতে পারছে না সাকিব। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে সফরে গিয়ে 'টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে' এমনটা জানান তিনি।
পাশাপাশি কানপুর টেস্টের আগে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক জানান, মিরপুরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চান। তবে তারকা অলরাউন্ডারের সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। রাজনৈতিক কারণে দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব। একবার দেশে ফেরার প্রচেষ্টা চালালেও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁকে দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করেন।
যার ফলে এক বছর ধরে দেশের বাইরে আছেন তিনি। চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞায় পড়ার কারণে শুধু ব্যাটার সাকিবকে স্কোয়াড রাখেননি নির্বাচকরা। জাতীয় দলে না থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছেন তিনি।
সাকিব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ভালো করলে এবং বাংলাদেশ জাতীয় দল খারাপ খেললেই তাকে ফেরানোর কথা উঠে। এই ইস্যুতে সর্বশেষ মতামত দিয়েছেন যুব এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি স্পষ্ট জানান, সাকিবকে আর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দিতে চান না তিনি।
সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব অবশ্য বাংলাদেশে ক্যারিয়ার শেষ করার ইচ্ছার কথা জানান। তিনি বলেন, 'সত্যি বলতে, আমি এখনো কোনো ফরম্যাট থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিইনি। আমি মনে করি, এটা আমার চেয়ে বেশি ভক্তদের জন্য (মিরপুরে অবসর নিতে চান কিনা এমন প্রশ্নে)। যদি সেটা হয়, তাহলে এটা আমার আর আমার ভক্তদের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার হবে।'
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের হয়ে কোনো অবদান রাখতে পারেননি সাকিব। উল্টো পরিবারসহ ঘুরতে গিয়ে হাস্যজ্বল ভঙ্গিতে ছবি তুলে সমালোচিত হন তিনি। বাংলাদেশের যখন গণহত্যা চলছিল তখনই সাকিব স্ত্রীর ফেসবুক থেকে অমন ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সাকিব অবশ্য বর্তমানে 'নির্দোষ ও নির্বিকার' হিসেবে দেখাতে চাইছেন।
তিনি বলেন, 'আমার মনে হয়, সেটা শুধু একটা মুহূর্ত ছিল, যা আমার বিপক্ষে গিয়েছিল। হয়তো তারা অন্য কিছু আশা করেছিল, আর আমি সেই সময় সেটা করতে পারিনি, কিংবা আমি পরিস্থিতিটা ঠিকমতো বুঝতেই পারিনি, সত্যি বলতে। তখন আমি বাসা থেকে অনেক দূরে ছিলাম, তাই আমার জন্য ব্যাপারটা কঠিন ছিল। আমি বুঝতে পারি কেন তারা তখন এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, এবং আমি সেটা সম্মান করি। তবে আমার কোনো আফসোস নেই। আমি মনে করি, এখন মানুষ ধীরে ধীরে ব্যাপারটা বুঝতে শুরু করেছে।'