মিরপুরের এমন উইকেট আগে কখনো দেখেননি স্যামি

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
মিরপুরের উইকেট দেখছেন ড্যারেন স্যামি, বিসিবি
মিরপুরের উইকেট দেখছেন ড্যারেন স্যামি, বিসিবি
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
‘আমি এখনো উইকেট দেখিনি। মাঠের বাইরের কিছু কাজ নিয়ে আমি খুব ব্যস্ত ছিলাম। হয়ত মিনিট দশেক পর দেখার সুযোগ পাব।’ উইকেট কেমন দেখলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে এভাবেই উত্তর দিলেন শাই হোপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের উইকেট দেখার সুযোগটা এলো একটু পরই। ড্যারেন স্যামির সঙ্গে এলেও সংবাদ সম্মেলনের মাঝেই উঠে চলে গেলেন হোপ। ক্যারিবীয় অধিনায়কের আচমকা চলে যাওয়ায় বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় উইকেট দেখার সুযোগটা নিতেই সংবাদ সম্মেলন ছেড়েছেন। হোপ আগে উইকেট না দেখলেও স্যামি সেটা ঠিকই দেখে নিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ তাই বললেন, ‘এমন উইকেট আমি আগে কখনো দেখেনি।’

ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পর আনুষ্ঠানিক অনুশীলন বাতিল করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অনুশীলন বাতিল করলেও ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) আচমকা ব্রেন্ডন কিংস অ্যালিক আথানাজেকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরে আসেন স্যামি। একাডেমি মাঠে টনি হেমিংয়ের সঙ্গে আলাপও সেরে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর গিয়ে মিরপুরের সেন্টার উইকেটও এক ঝলক দেখে নিয়েছেন। ২০১১ সালে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বাংলাদেশে খেলতে এসেছিলেন স্যামি।

অবসর নেয়ার আগে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলে ক্যারিবীয়দের জার্সিতে বাংলাদেশের মাটিতে ২০ ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের বাইরেও বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ২০১৫ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন বিপিএলে। পরের দুই মৌসুমে খেলেছেন রাজশাহী কিংসের হয়ে। ২০১৭ সালের পর বিপিএলে খেলা হয়নি স্যামির।

জাতীয় দলের পাশাপাশি বিপিএলে খেলার সুবাদে বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। স্বাভাবিকভাবেই মিরপুরের উইকেট নিয়ে খুব ভালো ধারণা থাকার কথা স্যামির। লম্বা সময় ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশে এলেও এবার তিনি এসেছেন কোচ হিসেবে। যদিও মিরপুরের কালো উইকেট দেখে চমকে গিয়েছেন তিনি। কোনো রাখঢাক না রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ জানালেন, এমন উইকেট আগে কখনো দেখেননি।

এ প্রসঙ্গে স্যামি বলেন, ‘দেখুন— অধিনায়ক এখনো উইকেট দেখেনি কিন্তু আমি দেখেছি। জানি না, ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারব কিনা… তবে এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। কিন্তু আমরা সবাই জানি উপমহাদেশে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে, বিশেষ করে ব্যাটারদের জন্য।’

সংবাদ সম্মেলনের একেবারে শেষের দিকে স্যামির কাছে আরও এক দফা জানতে চাওয়া হয় উইকেট নিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচকে প্রশ্ন করা হয় মিরপুরের উইকেটে কী এমন দেখেছেন যেটা আগে কখনো দেখেননি। স্যামি জানান, সেটা তিনি জানেন না কীভাবে বর্ণনা করবেন। তবে উইকেটকে খুব বেশি পাত্তা দিতে চান না তিনি। বরং পরিস্থিতি দ্রুত বুঝে নিয়ে নিজেদের স্কিল প্রয়োগ করে সফল হতে চান তারা।

স্যামি বলেন, ‘জানি না, এটিকে (উইকেট) কীভাবে বর্ণনা করব। তবে আমি যেটা বলতে পারি, উইকেটকে আমরা আমাদের মাথায় ঢুকতে দেব না। যেখানেই যাই না কেন, আমাদের মন্ত্র তো একই, কন্ডিশন যা পাওয়া যাবে, দ্রুত বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং এরপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সফল হওয়ার জন্য কোন স্কিলসেট এখানে প্রয়োজন। এরপর নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে মেলে ধরার জন্য। সেখানেই নিজের খেলায় কিছু যোগ করার ব্যাপার আসে।’