এবারই প্রথমবারের মতো বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য ‘রেভিনিউ শেয়ারিং’ মডেল নিয়ে এসেছে বিসিবি। এর আগে আলোচনায় ছিল ডিসেম্বর জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করতে পারলে এপ্রিল-মে মাসে বিকল্প উইন্ডোর কথা ভাববে বিসিবি।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন এই সময়টায় বাংলাদেশে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি এফটিপি অনুযায়ী পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঘরের মাঠে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এই এই সময়ে বিপিএল আয়োজন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এ প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, 'বাংলাদেশের জলবায়ু বিবেচনা করলে, এপ্রিল ও মে মাসে সবসময় বৃষ্টি থাকে। এই সময়টি বৈশাখী থাকে এবং পাশাপাশি বর্ষার সময়ও শুরু হয়। আরেকটি বিষয় হলো, আমাদের এফটিপি প্ল্যানে ঐ সময়ে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হোম সিরিজ আছে। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই সময়টিতে কোনো নির্দিষ্ট উইন্ডোই নেই।'
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া। কারণ একই সময়ে এসএ টোয়েন্টি আয়োজন হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আর সাউথ আফ্রিকায় চলে এসএ টোয়েন্টি। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এর আগেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিপিএল আয়োজন করেছে বিসিবি। তবে প্লেয়ার পেতে কোনো সমস্যা হয়নি তাদের।
তিনি বলেন, 'গত দুই সিজনে আপনার আইএল টি-টোয়েন্টি চলেছে, আর এসএ টোয়েন্টিও হয়েছে। এই দুইবারই আমাদের বিপিএল একই সময়ে আইএলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে মাঠে গড়িয়েছে। তাই ওভারসিজ প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা প্রভাব পড়েছে, তবে এটা বলা ভুল হবে যে আমাদের কোনো প্লেয়ার আসেনি।'
