বিসিবি নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ যেন শেষই হচ্ছে না। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় দুদকের পর্যবেক্ষণে থাকা ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ ফিরিয়ে দেয়া হলেও ফারুক আহমেদের রিটের জেরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদালত। বিসিবির নির্বাচনে ফিক্সিং হচ্ছে! এমন অভিযোগ তুলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন ১৬ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ছিলেন তামিম ইকবালও। ওল্ড ডিওএসএইচ ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
গত ২৪ ঘণ্টায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল ও রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হাসিবুল আলম। এমন অবস্থায় বিসিবির নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাদের বেশিরভাগ কাউন্সিলরদের নিয়ে মোহামেডান ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘বিসিবি নির্বাচনে নোংরামির বিরুদ্ধে ক্লাব, সংগঠক ও কাউন্সিলরদের প্রতিবাদ’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রথম সারির ক্লাবও। যেখানে ক্রীড়া উপদেষ্টা তিনটি প্রস্তাব মেনে নির্বাচন না পেছালে সবধরনের ক্রিকেট বর্জনের হুমকি দেন মাসুদউজ্জামান। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়ানো, নির্বাচনের পুনঃতফসিল ও অ্যাডহক কমিটি গঠনের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয় ৫ অক্টোবরের মধ্যে বিসিবি এটা সুরাহা না করলে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুমকিও দিয়েছে ঢাকার শীর্ষ স্থানীয় ক্লাবগুলো। জানা গেছে, ঢাকার ৪৮টি ক্লাবের সায় আছে এমন আন্দোলনে। উপদেষ্টাকে প্রস্তাব দেয়ার পরও সাড়া না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছেন বলে জানান মাসুদউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘পথটা খোলা। ওই দিনই (গত পরশু) খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়াতেই আজকে এই জায়গায় বসা (সংবাদ সম্মেলন করা)।’
নিজেরা কথা বলার পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সাংবাদিকদের হাতে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তুলে দেয়া হয়েছে যেখানে শিরোনাম করা হয়েছে, ‘‘বিতর্কিত নির্বাচনের নীলনকশা বাতিল না করা হলে আসন্ন কোনো ধরনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ক্লাব অংশ নেবে না।’ পাশাপাশি সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়টিও সামনে এনেছেন তারা।
যদিও সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিসিবির নির্বাচন। এমন অবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। নির্বাচন না পেছালে ঢাকার ক্লাবগুলো সত্যিকার অর্থেই ক্রিকেট বর্জন করবে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। এমনটা হলে বিপাকে পড়বে দেশের ক্লাব ক্রিকেট।