বিশেষ করে ঢাকার ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ আটকে দেয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তামিম। তিনি মানবিক দিক থেকেই এই ক্লাবগুলোর ৩০০ ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। বাদ পড়া ক্লাবগুলোর কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও করেছেন। বিভিন্ন যাচাই বাছাইয়ের পর ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ ফিরিয়ে দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে ১৯১ জনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
এদিকে ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কাউন্সিলর হয়েছেন তামিম। আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি অভিযোগ এসে সাবেক বাঁহাতি ওপেনারের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়। যার ফলে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তামিম তার কাউন্সিলরশিপ থাকবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তামিমের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। তিনি জানিয়েছেন এমন কিছু হচ্ছে না। যা প্রমাণ বিসিবি নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, 'আমি একটা মিডিয়াতে দেখলাম যে তামিম ভাই বললেন যে উনার কাউন্সিলরশিপ থাকবে কিনা এটা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কই, আজকে তো মনে হয় কাউন্সিলরশিপ চলে আসছে। ওইখানে কি দেখছেন যে কাউকে বাদ দেওয়া হয়েছে বা এরকম কিছু?'
ভোটার তালিকা নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি মনে করেন এসব শোনা কথা বিশ্বাস করা উচিত নয়। নির্বাচনের আগে অনেক সময়ই অনেকেই এরকম কথা ছড়ান। তাই কাগজে কলমে কী হচ্ছে সেদিকেই লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, 'তামিম ভাই যেটা নিউজ হলো, আমি দেখলাম ওইখানে তো তেমন কোনো পয়েন্ট আসলে আমি দেখি নাই। তো এটা যাওয়ার একটা শঙ্কা বা অনেকে অনেকের কানে অনেক কিছু দেয় যে আপনাকে বোধহয় বাদ দিয়ে দিবে। তো ওই জায়গা থেকে... বাট আপনি তো কাউন্সিলর লিস্ট দেখছেন এখন। তো আপনাকে তো কথা বলতে হবে অন পেপার কী আসতেছে, সিদ্ধান্তটা কী আসতেছে তার উপরে।'
অবশ্য নির্বাচনে মুখোমুখি অবস্থানকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন তিনি। আসিফ মাহমুদ বলেন, 'নির্বাচন মানেই তো মুখোমুখি অবস্থা। নির্বাচন যদি আপনি মনে করেন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না, মুখোমুখি অবস্থা হবে না, তাহলে এটা তো ঠিক না। একটা জিনিস হচ্ছে দেখার বিষয় হচ্ছে আমরা পক্ষপাতহীন এবং একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে কিনা। সেটা নিশ্চিত করাটা প্রয়োজন।'