বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের শুরুটা হয় কাউন্সিলরের তালিকা নিয়ে। নির্বাচনের জন্য বিসিবিতে কাউন্সিলের নাম জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। প্রায় বেশিরভাগ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বিসিবিতে মনোনীত কাউন্সিলরদের নামও জমা পড়ে। তবে সেই তালিকার অনেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত অ্যাডহক কমিটির বাইরের ছিলেন।
এমন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর নিজের স্বাক্ষর করে অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলরদের নাম পাঠাতে বলা হয়। এমনকি ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়। যা নিয়ে সম্মেলন করেন তামিমরা। সেই সময় বিসিবি নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন। বিসিবি সভাপতি বুলবুলের চিঠিকে গঠনতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দিয়েছেন তারা। পরবর্তীতে সেই ঘটনা হাইকোর্ট পর্যন্ত যায়।
রিট করা হলে বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। যদিও একটু পরই সেটা স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এমন অবস্থায় ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ১৭৭ জন কাউন্সিলরের নাম প্রকাশ করে বিসিবির নির্বাচন কমিশন। যেখানে ৬ জেলা ও ১৫ ক্লাবের কোনো প্রতিনিধি নেই। সবমিলিয়ে বিসিবির নির্বাচন ক্রমশই বিতর্কিত হয়ে পড়ছে।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে ক্রিকেটার্স ওয়ালফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি মিঠুন নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা যা হচ্ছে, এসব কখনোই কাম্য নয়। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা চাই, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।’
বিসিবির নির্বাচনের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শুরুতে ৪ অক্টোবর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সেটা পিছিয়ে ৬ অক্টোবর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কাউন্সিলরদের তালিকা প্রকাশে দেরি হওয়ায় আবারও নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে তারা। যদিও নতুন তফসিলেও ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবি নির্বাচন।