একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন শানাকা। এক সময় মনে হচ্ছিল, দুইশর কাছাকাছি চলে যাবে শ্রীলঙ্কা। ১৫ থেকে ১৮তম ওভার পর্যন্ত তারা নেয় ৫৫ রান। এমন পরিস্থিতিতে এসে ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ।
সেই ওভারে একটি রান আউটও আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ৪টি ডট বল করেন তাসকিন। একটি করে চার-ছক্কা হজম করলেও তিনি ১০ রানের বেশি দেননি। আর তাতেই শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১৮০ এর উপরে যায়নি বলে মনে করেন শানাকা। ম্যাচ শেষে তাই বাংলাদেশের এই দুই বোলারকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শানাকা বলেছেন, 'দেখুন, আমাদের একটা মোমেন্টাম তৈরি হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চারিথ আউট হওয়ার পর আমরা কিছুটা মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলি। বিশেষ করে ফিজ (মুস্তাফিজুর) এবং তাসকিন শেষের কয়েকটি ওভার খুব ভালো বল করেছে। তাই, আমার মনে হয় আমরা ১৮০ রান করার আশা করেছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।'
অভিজ্ঞতার বিচারে মুস্তাফিজকে বেশ উঁচুতেই রাখছেন শানাকা। বিশেষ করে মুস্তাফিজের আইপিএলে খেলার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। তাই তাকে কৃতিত্ব দেয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার। সেই সঙ্গে মুস্তাফিজের ১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শানাকা বলেন, 'অবশ্যই সে একজন উঁচু মানের খেলোয়াড়, জানেনই তো, সে আইপিএল খেলছে এবং প্রায় ১০ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছে। তার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই হ্যাঁ, সে একজন উঁচু মানের খেলোয়াড়, এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমাদের অবশ্যই তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে।'
শানাকা আরও যোগ করেন, 'কোনো বিশেষ পরিকল্পনা ছিল না। যেদিন তার দিন থাকে, সে আধিপত্য করে। যেদিন আমার দিন থাকে, আমি আধিপত্য করি। এটাই ক্রিকেট। আমি তো আর প্রত্যেক বোলারকে মারতে পারি না। একইভাবে, যেদিন তাদের দিন থাকে, তারা প্রত্যেক বোলারের ওপর চড়াও হয়। ফিজ (মুস্তাফিজুর) এখন খুব ভালো বল করছে। তাই আমাদের তাকে সম্মান জানাতে হবে। তাছাড়া, আমি তাকে একজন সাধারণ বোলারের মতোই খেলি।'