সেই আক্ষেপ ঘুচেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই ম্যাচে ইমনের বদলি হিসেবে দলে নেয়া হয় সাইফ হাসানকে। ওপেনিংয়ের বোলিংয়ের সঙ্গে পঞ্চম বোলার হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব নেয়ার দক্ষতার কারণে দলে সুযোগ পান তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে তানজিদকে নিয়ে গড়েন ৬৩ রানের জুটি।
সাইফের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস। এরপর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট মনে করেন দুই দলের ওপেনিং জুটিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আফগানিস্তান বাংলাদেশের দেয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায়।
নাসুম আহমেদ এলবিডব্লিউ করে ফেরেন সেদিকউল্লাহ অতলকে। এরপর ১৮ রানের মধ্যে ফেরেন আরেক ব্যাটার ইব্রাহীম জানরানও। ফলে শুরুর ধাক্কা সামলাতেই বেশ সময় বেরিয়ে যায় আফগানদের। এরপর অবশ্য বাংলাদেশের ভালো ফিল্ডিংয়ের প্রশংসা করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রট বলেন, 'আমার মনে হয় এখানে কয়েকটি বিষয় আছে, শুধু ব্যাটিং নয়। আমি মনে করি ফিল্ডিংয়ে আমরা খুব একটা ভালো ছিলাম না। তারা উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল এবং পাওয়ার প্লে শেষে তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান করেছিল, যেখানে আমরা ২ উইকেটে ২৭ রান করেছিলাম। সুতরাং আপনি এটিকে একটি বড় পার্থক্য হিসেবে দেখতে পারেন।'
বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, 'তারা খুব ভালো ফিল্ডিং করেছে, আমরা সম্ভবত ততটা ভালো ফিল্ডিং করতে পারিনি যতটা আমাদের করা উচিত ছিল। আর এটা আশ্চর্যজনক যে আপনি যখন খেলায় টিকে থাকেন এবং হাতে উইকেট রাখেন তখন আপনি কতটা কাছাকাছি যেতে পারেন, আর আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারাতে থাকি। তাই রান আউট, হ্যাঁ, আজমত, হ্যাঁ, প্রতিটি উইকেটই গুরুত্বপূর্ণ।'