শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্পিনে রীতিমতো চোখে সরষে ফুল দেখে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও রশিদ খান, নুর আহমেদরা বাংলাদেশকে চেপে ধরবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন কার্তিক।
তিনি বলেন, 'আবারও বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা খারাপ খেলছে। আপনি যদি ওই দলটার সম্ভাবনার দিকে তাকান এবং এটা এমন একটা কথা যা আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি। যথেষ্ট এবং তার চেয়েও বেশি প্রতিভা আছে। কিন্তু দিনের শেষে আপনি প্রতিভা দিয়ে কী করছেন সেটাই আসল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের খেলা, আবারও তারা প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ খেলেছে।'
'দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে কারণ আবারও আপনারা এমন কিছু কোয়ালিটি স্পিন বোলারের মুখোমুখি হবেন এমন একটা ট্র্যাকে যা তাদের বোলিংয়ের ধরনের জন্য সহায়ক হবে। কাজেই এটা দেখা আকর্ষণীয় হবে যে তারা কেমন খেলে, কারণ কাল যদি তারা হেরে যায়, তাহলে তারাও... তাদেরও বিদায় নিতে হবে। আর আফগানিস্তানকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারা তাদের খেলাটা খেলেছে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচে নামার আগে অনেকদিন অপেক্ষা করেছে।'
বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারের দিকে চোখ রাখছেন কার্তিক। অধিনায়ক লিটন দাসের পাশাপাশি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিবের ওপর ভরসা রাখছেন তিনি।
কার্তিক বলেন, 'অবশ্যই অধিনায়কের নামটা মাথায় আসে কারণ সে এখনও তরুণ এবং একটা দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে আর সে মানটা বেশ উঁচুতে স্থাপন করতে পারে। আমি রিশাদ হোসেনের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা দেখি কারণ আবারও, আমি প্রথমবার যা দেখেছিলাম... অবশ্যই কিছু জিনিস ঠিকঠাক করার আছে কারণ সে ফিরে গেছে এবং সে... আমরা সেদিন কথা বলেছিলাম যে কীভাবে তার আর্ম অ্যাকশন এবং আর্ম পজিশন বদলে গেছে।'
'আমি তানজিমের, ওই সিমারের, বিশাল ভক্ত। আমার মনে হয় আমি বিশাল ভক্ত, শুধু যেভাবে সে বল করে তার জন্য। তার মধ্যে এমন কিছু আছে যা বিশ্বমানের। আমার মনে হয় তার মধ্যে গতি আছে, তার যথেষ্ট লড়াকু মনোভাব আছে, যদি আমি একজন ফাস্ট বোলারের জন্য এই শব্দটা ব্যবহার করতে পারি, তার যথেষ্ট লড়াকু মনোভাব আছে, সেই তেজ যা আপনি একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের থেকে দেখতে চান। সুতরাং অবশ্যই এই তিনটি নাম আমি রাখব কারণ একজন ব্যাটার এবং অধিনায়ক এবং দুজন বোলার। কাজেই এই তিনজন মানুষের অবশ্যই অনেক সম্ভাবনা আছে।'