ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোর বোর্ডে রান তোলার আগে দুই ওভারের মাঝেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমকে শুন্য রানে ফেরান নুয়ান থুসারা। এরপর দুশমন্থ চামিরার বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন পারভেজ হোসেন ইমন।
তারপর আর আগ্রাসী খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে'তে দলটি তোলে তিন উইকেটে ৩০ রান। একপর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৫৩ রান। সেখান থেকে দলকে ১৩৯ রানে পৌঁছান জাকের আলী অনিক ও শামীম পাটোয়ারি।
জাকের ৩৪ বলে ৪১ এবং শামীম ৩৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই দুই ব্যাটারের আরো বেশি ঝুঁকি নেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন মিসবাহ। দলীয় সংগ্রহ কম হওয়ার কারণে বাংলাদেশ শুরু থেকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মিসবাহ বলেন, 'বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে সীমাবদ্ধতা আছে। ব্যাটিংয়ে নেমে ওরা ফুল টসে উইকেট হারায়। দুটি উইকেট চলে যায়। আপনার এপ্রোচ তাই পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রতিপক্ষকে আপনি সুযোগ করে দেন। দুই উইকেট যাওয়ার পরও পাওয়ার প্লে'তে আপনি ওদের সুযোগ করে দেন। আপনি যখন ১৪০ রান করবেন, ম্যাচ তখনই আপনার জন্য শেষ।'
'এখনে প্রথম ইনিংসের গড় রান ১৭৪। আপনি যখন ১৭০ এর বেশি রান করবেন তখন আপনার একটা সম্ভাবনা থাকবে। দুই উইকেট পড়ে গেছে মানে এই না যে আপনাকে রক্ষণাত্মক খেলতে হবে এবং ১৪০ রান করতে হবে। এই উইকেটে ওই রান কিছুই না। সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কা অসাধারণ বোলিং করেছে। ভালোভাবে রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছে।'
পরের রাউন্ডে যেতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই আফগানিস্তানকে হারাতে হবে। পাশাপাশি গ্রুপের অন্য ম্যাচের দিকেও নজর রাখতে হবে। মিসবাহ অবশ্য গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে আফগানদের এগিয়ে রাখছেন।
তিনি আরো বলেন, 'বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে আপনি যদি রিসোর্স দেখেন তাহলে বলব আফগানিস্তান অনেক শক্তিশালী। ওদের বোলিং ভালো, ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার আছে, ভালো অলরাউন্ডার আছে। ওদের গেমপ্ল্যান এবং আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। বাংলাদেশের শরীরী ভাষা আর ইন্টেন্ট সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয়। আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা ভালো করে জানে ওদের কী করতে হবে।'