ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরার পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক লিটন দাস (২৮) এবং তাওহীদ হৃদয় (৮)। কিন্তু তারাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ হয়তো ১০০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারবে না।
ষষ্ঠ উইকেটে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জাকের আলি এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায়। জাকের ৩৪ বলে ৪১ এবং শামীম ৩৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ইনিংসের শেষদিকে এই দুই ব্যাটার হাঁসফাঁস না করলে বাংলাদেশের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত।
সংবাদ সম্মেলনে এসে বাতাসের দোষ দিয়েছেন জাকের। জানিয়েছেন উইকেটের একদিকে বাতাস ছিল তাই দুইদিক থেকেই আক্রমণ করা যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, 'এই জিনিসটা মাথায় রাখতে হয়। এটা আমি যেটা আগেও বললাম যে, দুই পাশে মারা যায় না। তো একপাশে গ্রাউন্ডে বেশি খেলতে হয়, একপাশে আপনি তখন মারতে পারবেন যেই সাইডে বাতাসের হেল্প। তো এই জিনিসগুলো মাথায় রেখে খেলতে হয়।'
লিটন ছাড়া বাংলাদেশ আর কোনো ব্যাটারই ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারছেন না। একেকদিন একেকজন ভালো করছেন। ফলে দলও নিয়মিত ভালো শুরু করতে পারছে না। বিশেষ করে ওপেনাররা ভালো শুরু এনে দিতে পারছেন না কোনো ম্যাচেই। জাকের মনে করেন লঙ্কানদের বিপক্ষে হাতে উইকেট না থাকায় রিক্স নিতে পারেননি তারা।
জাকের বলেন, 'যেটা বললাম, যদি বারবার একই কথা হয়ে যাচ্ছে যে টপ অর্ডারের কথা, আসলে ওদেরকে বেশি দোষারোপ দেওয়া হয়ে যাচ্ছে। আসলে ভালো শুরু হলে এই জিনিসগুলোও এত রিস্কি মনে হতো না। কারণ যেহেতু হাতে উইকেট ছিল না, আপনি এত রিস্ক নেওয়া যাবে না একটা ভালো সংগ্রহের জন্য।'