‘ছেলে তামিম’কে জায়গা দিতে নির্বাচন করছেন না আকরাম

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

লম্বা সময় ধরেই ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন আকরাম। প্রধান নির্বাচকের পাশাপাশি পরিচালক পদে নির্বাচন করে বোর্ডের দায়িত্বও নেন তিনি। বেশিরভাগ সময়ই কাজ করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি পদে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বর্তমান কমিটিতেও বেশ কয়েকটি পদে রাখা হয়েছে তাকে। কদিন পরই শেষ হচ্ছে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ।
বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেবেন না আকরাম খান
৪ সেপ্টেম্বর ২৫
নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের আগ্রহ কিংবা অনাগ্রহের কথা প্রকাশ করছেন বিসিবির পরিচালক কিংবা ক্লাব সংগঠকরা। জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন না মাহবুব আনাম। বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যানের মতো আকরাম নিজেও সরিয়ে গেছেন। চট্টগ্রাম থেকে দুজনের সুযোগ থাকলেও সেটা লুফে নিতে চান না তিনি। বরং ভাতিজা তামিমকে সামনে এগিয়ে দেয়ার স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত তাঁর।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আকরাম বলেন, ‘আপনারা জানেন পরিবারের আরেকজন সদস্য অংশগ্রহণ করছে। আমার মনে হয় ক্রিকেট বোর্ডে এক পরিবার থেকে দুইজন লোক থাকা—এটা আমার কাছে পছন্দ না। ও (তামিম ইকবাল) তো আমার ছোট, আমার ছেলের মতো। ওকে আমি কোলে নিয়েছি। এজন্য আমি সরে আসছি। দুজন থাকা—এটা আসলে ভালো দেখায় না। বয়সেরও তো একটা ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন করব না।’
‘আমি ক্রিকেটার, সন্ত্রা*সী না’, বুলবুলকে হু*মকি দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তামিম
৭ সেপ্টেম্বর ২৫
ভোটে জিতে বিসিবির পরিচালক হতে পারলে সভাপতি পদের জন্যও লড়াই করতে পারেন তামিম। একই সঙ্গে একই পদের জন্য লড়বেন বর্তমান সভাপতি বুলবুল। ঢাকা বিভাগ থেকে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি। বুলবুলও যদি জিততে পারেন তাহলে সভাপতি পদের জন্য লড়াইটা হবে তামিমের সঙ্গে। আকরাম অবশ্য বিতর্কে না গিয়ে দুজনের কাছেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালো চাইলেন। সেই সঙ্গে স্বার্থের জন্য যাতে ক্রিকেটের অসম্মান না হয় সেটাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
আকরাম বলেন, ‘বার্তা মানে তামিম বলেন বা বুলবুল বলেন যেই আসুক—একজন আমার আত্মীয়, একজন কলিগ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেন ভালো হয় সেই জিনিসটা চাই। এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা হয়েছে আপনার সম্মান। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে স্বার্থের জন্য অন্যকে অনেক অসম্মানিত করা হচ্ছে। এই জিনিসটা আসলে সহ্য করার মতো না। কারণ আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে ক্রিকেট। ক্রিকেট ছাড়া আমি ব্যবসায়ী দিক, কোনো রাজনীতিবিদ, রাজনীতির হিসেবেও কিন্তু আমি আসিনি। সুতরাং ক্রিকেট নিয়ে যদি কোনো ধরনের অসম্মান হয় সেটা সহ্য করার মতো না।’