এ ছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন সাইফ হাসান। পাশপাশি শেষদিকে নেমে ১৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের স্বস্তির জয় নিশ্চিত করেন সাইফ। টানা দুই ছক্কায় বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। লিটনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে সাইফ যোগ করেছেন ৫৪ রান।
যদিও ম্যাচের মোড় ঘোরানোর নায়ক ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। এই ওপেনার টানা দুই চারে ইনিংস শুরু করেন। পরের বলে হাঁকান বিশাল এক ছক্কাও। সেই মুহূর্তেই বাংলাদেশ মোমেন্টাম পেয়ে যায় বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাই ইমনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি।
লিটন বলেন, 'ডিউ (শিশির) বড় ফ্যাক্টর ছিল। আমাদের বোলাররা যেমন বল করেছে—তাসকিন, ফিজ আর মাঝে সাইফও দারুণ বল করেছে। রিশাদ যখন বল করতে এল, তখনই ডিউয়ের কারণে সমস্যা হচ্ছিল। আর বল গ্রিপ করতে কষ্ট হচ্ছিল। এমন উইকেটে ১৩৭ খুব বড় টার্গেট নয়, আর ইমন প্রথম ওভারেই যেভাবে শট খেলল, সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে গেল।'
এদিন দারুণ বোলিং করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন তাসকিন। বেশ কিছুদিন ধরেই ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। এমনকি ইংল্যান্ডে তাকে চিকিৎসাও নিতে হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরলেও পুরো ছন্দে ছিলেন না এই ডানহাতি পেসার। তাসকিন জানিয়েছেন ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন তিনি।
ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে নিয়ে লিটন বলেন, 'এমন ম্যাচ খেলা সবসময়ই দারুণ অনুভূতি, বিশেষ করে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। চোটের পর ছন্দ ফিরে পেতে কষ্ট হচ্ছিল, তবে দিন দিন তা ভালো হচ্ছে। গত কয়েকদিন আমি অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেছি আর পরিশ্রমের ফল সবসময়ই পাওয়া যায়। উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল, সাথে শিশিরের প্রভাবও ছিল। আমি শুধু বেসিকগুলো মেনে খেলেছি এবং নিজের ভ্যারিয়েশনগুলো মিশিয়ে দিয়েছি।'