ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বড় হার

বাংলাদেশ
ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের হার
নর্দার্ন টেরিটোরি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
খাওয়াজা নাফে, ইয়াসির খান ও আব্দুল সামাদের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে শেষের দিকে মোহাম্মদ ফাইক ও ইরফান খান নিয়াজীর ক্যামিওতে ২২৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান শাহীন্স। বোলারদের মতো দিনটা খারাপ গেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলারদেরও। মোহাম্মদ সাইফ হাসান ও জিসান আলম ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শাহীন্সের কাছে ৭৯ রানে হেরেছেন ‍নুরুল হাসান সোহানরা।

জয়ের জন্য ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পেসার উবাইদ শাহর লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন নাইম শেখ। ৪ বলে ৫ রান করে ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। নাইমকে হারানোর পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন সাইফ ও জিসান আলম। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে দুজনই দ্রুত রান তুলতে থাকেন। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তোলে বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লে শেষে অবশ্য জিসানের উইকেট হারায় ৫ চার ও এক ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলা ওপেনারকে ফেরান মাজ সাদাকাত। বাঁহাতি স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করে ছক্কা মারার চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন ইয়াসির খানের হাতে। জিসানের বিদায়ে ভাঙে ৮৬ রানের জুটি। একটু পর আউট হয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। ফয়সাল আকরামের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ৬ রানে।

শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা সাইফ ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন সাদাকাতের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে লং অফে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার একটু পরই আউট হয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কার চেষ্টায় টপ এজ হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন সাইফ। ভালো শুরু পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সোহান।

দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশের অধিনায়ক আকরামের বলে আউট হয়েছেন ১৬ বলে ২২ রান করে। শেষের দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিরা কেউই ভালো করতে পারেননি। ফলে বড় লক্ষ্য তাড়ায় ১৪৮ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ মাসুদ ও আকরাম। দুইটি উইকেট পেয়েছেন ওয়াসিম জুনিয়র।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালাতে থাকেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার নাফে ও ইয়াসির। তাদের দুজনের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান তোলে তারা। রাকিবুল হাসানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাফে। একটু পর ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন আরেক ওপেনার ইয়াসির। তাদের দুজনের ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে রান আউটে।

৮ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন নাফে। ইয়াসিরও আউট হয়েছেন একটু পরই। মাহফুজুর রাব্বির বলে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪০ বলে ৬২ রান করে। ভালো শুরু পেলেও ফাইক ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন সামাদ। অপরাজিত ছিলেন ৫৬ রানে। ইরফান আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল, হাসান ও রাব্বি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

পাকিস্তান শাহীন্স- ২২৭/৪ (২০.০ ওভার) (নাফে ৬১, ইয়াসির ৬২, সামাদ ৫৬*; হাসান ১/৩৪)

বাংলাদেশ ‘এ’ দল- ১৪৮/১০ (১৬.৫ ওভার) (জিসান ৩৩, সাইফ ৫৭, সোহান ২২; আকরাম ৩/১৯, সাদ ৩/৩০, ওয়াসিম ২/২৪)

আরো পড়ুন: টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি