কনকাশন সাবের নতুন নিয়মে লাভ দেখছেন লিটন

ছবি: লিটন দাস, ক্রিকফ্রেঞ্জি

চলতি বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারতের মাটিতে সাদা বলের সিরিজ খেলে ইংল্যান্ড। সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে শিভাম দুবের কনকাশন সাব হিসেবে খেলেছিলেন হার্শিত রানা। ভারতের সহকারী কোচ মরনে মরকেল সেই সময় নিশ্চিত করেছিলেন, মাথা ব্যথা নিয়ে ব্যাটিং করেছিলেন দুবে। যার ফলে বাধ্য হয়েই সেদিন বাঁহাতি ব্যাটারের কনকাশন সাব হিসেবে পেসার হার্শিতকে খেলায় ভারত।
দুই ‘মেহেদীকে’ নিয়ে মধুর সমস্যায় বাংলাদেশ
৫ ঘন্টা আগে
বল হাতে ইংল্যান্ডকে সেদিন একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন হার্শিত। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে ওই খেলোয়াড়ের জায়গায় অন্য একজনকে খেলানো যেতো। সেক্ষেত্রে বোলারের জায়গায় বোলার এবং ব্যাটারের জায়গায় ব্যাটারকে খেলাতে হতো। তবে সেই ম্যাচে এমন নিয়ম না মানায় সমালোচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলার।
সেই ঘটনার পরই কনকাশন সাবের নিয়মে বদলে এনেছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন ম্যাচ শুরুর আগেই প্রতিটি দলকে পাঁচ জন বিকল্প ক্রিকেটারের নাম ম্যাচ রেফারির কাছে জমা দিতে হবে। যেখানে একজন ব্যাটার, একজন উইকেটকিপার, একজন পেসার, একজন স্পিনার ও একজন অলরাউন্ডারকে রাখতে হবে। কোনো ক্রিকেটার মাথায় আঘাত পেলে লাইক টু লাইক পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো।

খাবার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা
২ ঘন্টা আগে
অর্থাৎ কোন পেসার মাথায় চোট পেলে তাঁর পরিবর্তে পেসার খেলাতে হবে। কোনো ব্যাটার যদি মাথায় আঘাত পান তাহলে আরেক ব্যাটারকেই নামাতে হবে। তবে কনকাশন সাব হওয়া ক্রিকেটার যদি মাথায় আঘাত পান তখনই কেবল ম্যাচ রেফারির অনুমতিতে তালিকার বাইরে থেকে লাইক টু লাইক পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো। লিটন মনে করেন, এমন নিয়ম সবার জন্যই লাভজনক হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘মনে হয় না। এখনও গভীরভাবে চিন্তা করিনি। যেহেতু কনকাশনের বিষয়টা আগে থেকেই হয়েছে। কনকাশনে অনেক সময় অলরাউন্ডার না থাকলে একটা ব্যাটসম্যান নিয়ে যেতো। এখন আগেই ঠিক করা থাকে, কার জায়গায় কে আসবে। এটাতে শুধু বাংলাদেশ লাভবান হবে এমন না, উভয় দলই ফায়দা পাবে।’
২০ জুলাই মিরপুরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গত জুনে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি সবশেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জেতার রেকর্ড নেই লিটনদের। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বিশ্বাস, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে এমন ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন তারা।
লিটন বলেন, ‘আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। সব কিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে, আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেসব ভাবলে ওই সব জিনিসই বদলে যাবে।’