অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশের হার

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদরা ড্রেসিং রুম থেকে এলেন আর ফিরলেন। মাঝে আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান তানজিদও। কামিন্দু মেন্ডিস এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল বাংলাদেশ। ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারানোয় বাংলাদেশের হারটা নিশ্চিতই ছিল। শেষের দিকে জাকের আলী অনিকের ৬৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৭৭ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ২৯ ধাপ এগোলেন তানজিদ
২১ মে ২৫
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের জয়ের জন্য ২৪৫ রান তাড়ায় পারভেজ ইমন ও তানজিদ মিলে ভালো শুরুর চেষ্টাই করেছিলেন। ২৯ রান তোলার পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আসিথা ফার্নান্দো। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টপ এজে শর্ট থার্ডম্যানে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন পারভেজ ইমন। ওয়ানডে অভিষেকে বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ১৬ বলে ১৩ রানে। শুরুতে উইকেট হারালেও তানজিদ ও শান্তর ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে দাপট দেখায় বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তোলে সফরকারীরা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫১ রানে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাঁহাতি ওপেনারের দ্বিতীয় পঞ্চাশ। শান্তর সঙ্গে তানজিদের জমে ওঠা জুটি ভাঙে রান আউটে। মাহিশ থিকশানার বলে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে মিলান রত্নায়েকের থ্রোতে মেন্ডিস স্টাম্প ভাঙার আগে পৌঁছাতে পারেননি শান্ত। রানে আউটে ফিরে যেতে হয় বাঁহাতি ব্যাটারকে।
সদ্যই ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব হারানো শান্ত আউট হয়েছেন ২৬ বলে ২৩ রানে। পরের ওভারে আউট হয়েছেন লিটনও। হাসারাঙ্গার বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন তিনি। মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নামা উইকেটকিপার ব্যাপার ৪ বলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। একই ওভারে আউট হয়েছেন তানজিদও। ডানহাতি লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মিড অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় জানিথ লিয়ানাগের হাতে ক্যাচ দেন ৬১ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনার।

পরের ওভারে হৃদয়কে ফিরিয়েছেন কামিন্দু। লঙ্কান স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে ৪ বলে ১ রান করা হৃদয়কে। আগের ওভারে দুই উইকেট নেয়া হাসারাঙ্গার এবার ফেরান মিরাজকে। ডানহাতি লেগ স্পিনারের গুগলিতে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন তিনি। স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরেছেন মিরাজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে কামিন্দু নিয়েছেন তানজিম ও তাসকিনের উইকেট।
ক্রিকেটাররা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে না, এই ১৫-২০ জনই আমাদের সেরা: তাসকিন
১০ ঘন্টা আগে
ভালো শুরু পাওয়ার পর মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। ১০৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর জাকের ও তানভীর মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি। থিকশানার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে ফেরেন তানভীর। পরবর্তীতে মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জাকের যোগ করেন ৪২ রান। নিজেও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৬৪ বলে ৫১ রান করে জাকের ফিরলে ১৬৭ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে হাসারাঙ্গা চারটি এবং কামিন্দু তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়নি। পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন তানজিম। পরবর্তীতে নিশান মাদুশকা ও কামিন্দুকে ফিরিয়ে সফরকারীদের দারুণ শুরু এনে দেন তাসকিন। তবে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন চারিথ আসালাঙ্কা ও মেন্ডিস। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬০ রান। তাদের জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত তানভীর। বাঁহাতি স্পিনারের বলে মেন্ডিস ফেরেন ৪৫ রানে।
পরবর্তীতে লিয়ানাগের সঙ্গেও পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। লিয়ানাগের সঙ্গে জমে ওঠা জুটি ভাঙেন শান্ত। ২৯ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। পরে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ২২ রান করে করা রত্নায়েকে ও হাসারাঙ্গা। ১১৭ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন আসালাঙ্কা। তানজিমের বলে আউট হয়েছেন ১০৬ রানে। শেষ পর্যন্ত ২৪৪ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন চারটি ও তানজিম তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা— ২৪৪/১০ (৫০ ওভার) (মেন্ডিস ৪৫, কামিন্দু ০ আসালঙ্কা ১০৬, লিয়ানাগে ২৯, রত্নায়েকে ২২, হাসারাঙ্গা ২২; তাসকিন ৪/৪৭, তানজিম ৩/৪৬)
বাংলাদেশ— ১৬৭/১০ (৩৫.৫ ওভার) (তানজিদ ৬২, শান্ত ২৩, জাকের ৫১; হাসারাঙ্গা ৪/১০, কামিন্দু ৩/১৯)