ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ভালো করিনি, এখনো দুটি ম্যাচ আছে: লিটন

ছবি: লিটন দাস, ফাইল ফটো

এই ম্যাচেও সব বিভাগে খেই হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং—কোনো কিছুতেই ছিল না ধারাবাহিকতা। ফলে বড় ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে দলের এই পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন অধিনায়ক লিটন দাস।
চিরচেনা ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ‘প্রত্যাশিত’ হার
২৯ মে ২৫
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (হতাশাজনক)। ম্যাচজুড়ে আমরা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করিনি। আমি কোনো কিছু বলছি না...তবে আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সামনে এখনো দুটি ম্যাচ আছে।’
প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান তোলে ২০১ রান। সেই লক্ষ্য তাড়ায় ১৬৪ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। তবে লিটন বিশ্বাস করেন, এই রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। ‘আমি নিশ্চিত, এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব (ছিল)। কারণ, এই মাঠ খুবই গতিময়। উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো। আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি।’

তবে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও একই রকম দুর্বলতা দেখা গেছে। ধারাবাহিকতা নামক জিনিসটাই যেন হারিয়ে খুঁজছে বাংলাদেশ। একদিন ব্যাটিং ভালো হলে, অন্যদিন বোলিং খারাপ। কিংবা উল্টোটা।
বিসিবির নতুন সভাপতি বুলবুল
৪ মিনিট আগে
এই সমস্যা নিয়ে লিটন বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (ব্যাটিং-বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন)। শুধু ব্যাটিং-বোলিং নয়, আমাদের ফিল্ডিংও ভালো করতে হবে। গতিময় খেলায় আপনাকে ভালো ফিল্ডিং করতে হবে। আমরা এই মুহূর্তে ভালো ফিল্ডিং করছি না।’
তবে শুধুমাত্র কৌশলগত জায়গা নয়, মানসিক দিকেও উন্নতির প্রয়োজন দেখছেন অধিনায়ক। ‘শুধু অনুশীলন করে নয়; মানসিকতার জায়গা থেকে আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমার মনে হয়, ক্রিকেট শুধু অনুশীলনের ব্যাপার নয়। আমাদের ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে একই ভেন্যুতে, ৩০ মে ও ১ জুন। সিরিজে টিকে থাকতে পরের ম্যাচটি বাংলাদেশকে জিততেই হবে।