তামিমের আক্ষেপের পর বৃষ্টি, বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ছবি: বিসিবি

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল বাংলাদেশের যুবাদের। সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে দুইশর আগেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন সামিউন বশির রাতুল, ইকবাল হোসেন ইমনরা। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেই ম্যাচ হেরে বসে সফরকারীরা। ফলে সিরিজ জিততে হলে শেষ ম্যাচে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। কারণ পাঁচ ম্যাচের দুটিতে জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
আজিজুল হাকিমের সেঞ্চুরিতে গুলশানের জয়
১২ এপ্রিল ২৫
শেষ ম্যাচটা লঙ্কানরা জিতলে তখন সিরিজ ভাগাভাগি করতে হতো দুই দলকে। এমন সমীকরণের ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জাওয়াদ আবরারের উইকেট হারায় সফরকারী। থারুশা নাভোদিয়ার বলে ভিমাথ দিনসারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

শুরুতে উইকেট হারালেও বাংলাদেশকে পথ হারাতে দেননি কালাম সিদ্দিকী ও আজিজুল তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে তারা দুজনে মিলে ৬৫ রান যোগ করেন। তাদের জুটি ভাঙেন হিমেল রাভিহানশা। ডানহাতি লেগ স্পিনারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন কালাম। বাংলাদেশের ওপেনারকে ফিরতে হয়েছে ৫ চারে ৪৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার, অপেক্ষা বাড়ল সিরিজ জয়ের
৫ মে ২৫
একটু পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা আজিজুল তামিম। বাংলাদেশের অধিনায়ককে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন চারে নামা রিজান হোসেন। পুরো সিরিজ জুড়েই ছন্দে থাকা রিজান নিজের সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। শ্রীলঙ্কা সফরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির পথে থাকা আজিজুল হাকিমও এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেই পথেই। তবে তাকে সেঞ্চুরি করতে দেননি মাথুলান।
৭ চার ও ২ ছক্কায় ১১১ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আজিজুল তামিমকে। বাংলাদেশের অধিনায়কের বিদায়ে ভাঙে রিজানের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি। পরবর্তীতে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন রিজান। এমন সময় হানা বৃষ্টি। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩৯.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৮ রান তোলে বাংলাদেশ। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরু করা সম্ভব না হওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় এবং বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নেয়।