বড় হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ
বড় হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ
দুবাইতে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল, আইসিসি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ৫০ ওভারের ফরম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ।

যদিও সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে টাইগারদের। আগে ব্যাট করে ২০২ রানে অল আউট হওয়ার পর বল হাতে ৩ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি টাইগার বোলাররা। ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান। বল হাতে মিরাজের সঙ্গে একটি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও তানজিম সাকিব।

পাকিস্তান 'এ' দলকে মামুলি লক্ষ্য দিয়ে বল হাতে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভালোই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে তাদের ৪২ রানের বেশি করতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ১০ ওভার শেষে পাকিস্তান 'এ' দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৪২ রান। এরপর উইকেট হাতে রেখে রান বাড়াতে থাকে পাকিস্তানের দলটি। যদিও ২০ ওভার শেষে ৮৭ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান 'এ' দল।

বাংলাদেশের বোলারদের সাফল্য এই পর্যন্তই। এরপর বাকিটা ছিল মোহাম্মদ হারিস ও মুবাসশির খানময়। ৭৬ রান করে শেষ দিকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৬৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মুবাসশির। আর তাতেই ৩৫ ওভারের মধ্যে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান 'এ' দল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে দিন ব্যাটে-বলে বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা একেবারেই ভালো হয়নি।

এর আগে পাকিস্তান 'এ' দলের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। ১০ ওভারে ৬০ রান তুলতেই বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তানজিদ হাসান ৬ রান করে আউট হন আলী রেজার বলে। আর নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ রান করে শিকার হন মুবাসশির খানের।

দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য সরকার ৩৫ রান করে রান আউট হন। ২০ ওভারের পরই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। তাওহীদ হৃদয় ফেরেন ১৯ রান করে। হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন ৪৪ রান করে। মুশফিকুর রহিমও ব্যর্থ হয়েছেন এই ম্যাচে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

অন্যদিকে জাকের আলী আউট হয়েছেন ৪ রান করে। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২০২ রান করতে পারে। তাতে নাসুম আহমেদ ও তানজিম সাকিবের কৃতিত্বই বেশি। নাসুম শেষদিকে নেমে ১৬ বলে ১৫ রান করেন। তানজিম ২৭ বলে ৩০ রান করে কোনো মতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০০ পাড় করেন। আর তাসকিন আহমেদ অপরাজিত থাকেন ৪ রান নিয়ে।

আরো পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি