শঙ্কা উড়িয়ে টেপ পেঁচিয়ে অনুশীলনে সৌম্য

ছবি: অনুশীলনের মুহূর্তে সৌম্য, ক্রিকফ্রেঞ্জি

সেই সময় শটের ফুলঝুরি ছড়ান তিনি। ফলে বোঝাই গেছে চোট গুরুতর নয়। তবে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে সৌম্যর হাতের স্ক্যান করানো হবে সতর্কতার জন্য। সৌম্য এদিন সেন্টার উইকেটে নিজের ব্যাটিং ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন। সেই সময় মৃত্যুঞ্জয়ের করা গুড লেংথ থেকে একটু বাড়তি লাফানো ডেলিভারিতে আঙুলে চোট পান সৌম্য।
সৌম্যকে ছোঁয়া হলো না নাইমের
৯ মার্চ ২৫
এই সময় বেশ গুরুতরই মনে হচ্ছিল সৌম্যর চোট। ব্যথা পাওয়ার পরই ব্যাট ফেলে ক্রিজের অন্যপ্রান্তে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন সৌম্য। সেই সময় তার অবস্থা দেখতে ছুটে আসেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম সঙ্গে সঙ্গেই সৌম্য হাতে ব্যথানাশক স্প্রে করে দেন। এরপর মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি।

কিছুক্ষণ বাদেই আবারও ব্যাট প্যাড নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তখন তার ব্যাটিংয়ে কোনো অস্বস্তি দেখা যায়নি। তবে ব্যাটিংয়ের সময় কিছুটা সতর্ক ছিলেন তিনি। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইনজুরিতে পড়েছিলেন সৌম্য। খেলার এক পর্যায়ে তানজিম হাসান সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরের বাড়তি লাফিয়ে ওঠা বলে এজ হয়েছিলেন রভম্যান পাওয়েল।
আমি নিজের চেয়ে দলকে সবসময় ওপরে রাখি: হার্দিক
১৪ মিনিট আগে
স্লিপে ক্যাচ দিলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি সৌম্য। উল্টো বলের গতি বুঝতে না পেরে আঙুলে চোট পান বাঁহাতি এই ওপেনার। তারপর ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন তিনি। সৌম্য মাঠ ছাড়ার কয়েক ওভার পর টিভি স্ক্রিনে দেখা যায় তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। মূলত এক্স-রে করে চোটের পরিস্থিতি বোঝার জন্য তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
এক্স-রে'র পর জানা যায়, অন্তত চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন সৌম্য। সেই সঙ্গে কেটে যাওয়া আঙুলে পাঁচটি সেলাই দিতে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাই শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলা হয়নি সৌম্যের। বিপিএলের প্রথম অংশও মিস করেন তিনি। শেষদিকে ফিরলেও নিজের চেনা ছন্দে ব্যাট করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার।