‘চাইতাম ক্রিকেট ছাড়লে মানুষ যেন এসে বলে আরও খেলতে পারতি’

ছবি: বিপিএল ট্রফি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বিপিএল চলাকালীন শেষবারের মতো তামিমকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন বিসিবির নির্বাচকরা। সিলেটে গিয়ে কয়েক দফায় সাবেক বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, হান্নান সরকাররা। যদিও তামিমের মন গলাতে পারেননি তারা। শেষ পর্যন্ত ‘দ্বিতীয়বারের’ মতো অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। অবসরের আগে বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৯১ ম্যাচ আর ১৫ হাজার ২৪৯ রান করেছেন তামিম।
তামিমের সেঞ্চুরিতে জিতল মোহামেডান
২০ ঘন্টা আগে
৭০ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১৩৪ ইনিংসে ৫ হাজার ১৩৪ রান, ২৪৩ ওয়ানডেতে ৮ হাজার ৩৫৭ এবং ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার ৭৫৮ রান করেছেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলে তামিমের সেঞ্চুরি আছে ২৫টি। জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেট, বিপিএল চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। যদিও অবসর নেয়া অনেক ক্রিকেটারই নিয়মিত খেলার মাঝে না থাকায় ঘরোয়াতে পারফর্ম করতে পারেন না।
এমন কী বয়স হয়ে গেলে জাতীয় দলের অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারাও এমন অবস্থার মুখে পড়েন। অনেক সময় অনেক ক্রিকেটার কিংবা অ্যাথলেট নিয়ে বলতে শোনা যায় তারা অবসরে যান না কেন। তামিম অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার শুরু থেকেই ভাবতেন যাতে এমন কিছু তাকে না দেখতে হয়। ক্রিকেটে এক-দেড় বছর দেয়ার থাকতেই অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার ভাবনা ছিল তার। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, ক্রিকেটে এখনও অনেক কিছু দেয়ার আছে।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমার বিশ্বাস সবসময় শতভাগ ছিল। আমি এখনও বিশ্বাস করি ক্রিকেটে আমার অনেক কিছু দেয়ার আছে, এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। কিন্তু সবকিছুর একটা সময় থাকে। যখন আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করলাম.. আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতাম আমি সবসময় আল্লাহর কাছে একটা জিনিস দোয়া করতাম আল্লাহ আমি এমন সময় ক্রিকেটটা ছাড়ি যেখানে মানুষ আমাকে এসে বলতে হবে তুই আরেক বছর খেলতে পারতি, আরও দেড় বছর খেলতে পারতি। আমি সবসময় এটাই চাইতাম।’
কলকাতার নতুন সহকারী কোচ গিবসন
৮ মার্চ ২৫
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ থাকলেও সেটা লুফে নেননি তামিম। ছেলের চাওয়াকে অপেক্ষা করে বিসিবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। তামিম বলেন, ‘আমার সেই সুযোগটা ছিল। হ্যাঁ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যাপারটা আমার জন্য বড় একটা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশেষ করে আমার ছেলের জন্য... আমি এই কথাটাও বলেছি। কীভাবে যেন হঠাৎ করে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ পেয়ে গেছে। সে আমাকে খেলতে দেখতে চাইতো।’
বিসিবিকে না করার পেছনে লম্বা সময় জাতীয় দলের জার্সিতে না থাকাকে কারণ হিসেবে সামনে এনেছেন তামিম। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন অবসর নিলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচও খেলেন। এরপর নানা রকম বাস্তবতায় নিজেকে বিশ্বকাপের দল থেকে সরিয়ে নেন তামিম। সেই সময়ের পর থেকেই জাতীয় দলে নেই। লম্বা সময়ের গ্যাপ না হলে খেলা চালিয়ে যেতেন বলে মনে করেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয় ওই গ্যাপটা যদি না হতো আমার জন্য। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ঘটনা, তারপরে যে গ্যাপটা হয়েছে ওই গ্যাপটা না হলে খুব সম্ভবত আমি চালিয়ে যেতাম। আমার মনে হয় আমি আরও এক-দেড় বছর অনায়াসে খেলতে পারতাম। কিন্তু ওই গ্যাপটা যখন হয়ে গেছে তখন অনেক যদি-কিন্তু নিজের মাথায় চলতে থাকে।’
‘যে ধরনের আমার ক্যারিয়ার ছিল আমি খেলব, খেলব না, ভালো করব কি করব না এসব নিয়ে কখনও ভাবতাম না। আমার ভাবনা ছিল কিভাবে করে আমার পারফরম্যান্সটা উপরে নিয়ে আসতে পারি। আমি কিভাবে আরও ভালো হতে পারি। এই গ্যাপের পর আমি যদি কামব্যাক করতাম জিনিসগুলো হয়ত ভিন্ন হতো। আপনাকে যেটা বললাম আমি চেয়েছি এক-দেড় বছর আগেই ক্যারিয়ার শেষ করতে।’