তামিমের ৯১ ম্লান করে শেষ ওভারে বরিশালকে জেতালেন সালমান
ছবি: তামিম ইকবাল (বামে), সালমান হোসেন ইমন (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি
দুই ছক্কা ও এক চারে সমীকরণ সহজ করে আনলেও ম্যাচ থেকে তখনও দূরেই ছিল তারা। এমন সময় এসে নো বল করলেন ইরফান। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা সালমান সেটা উড়িয়ে মারলেন ডিপ মিড উইকেট দিয়ে। ফ্রি হিটে রান বের করতে না পারলেও শেষ বলে এসে সমীকরণ মিলিয়েছেন সালমান। বরিশালের যখন জয়ের জন্য শেষ বলে দুই রান প্রয়োজন তখন ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে উল্লাসে মেতে উঠেছেন সালমান। শেষ ওভারে ২৫ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ৫ উইকেটের জয়ও পেয়েছে বরিশাল।
তাদের এমন জয়ে ম্লান হয়েছে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ইনিংস। আগে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রামের ১৮২ রানের পুঁজির কারিগর ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়লেও ৬ ছক্কা ও ৭ চারে ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে হেরেছে তাঁর দল চট্টগ্রাম। চার ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে রয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮৩ রান তাড়ায় বরিশালকে দারুণ এক শুরু এনে দিয়েছিলেন ইফতেখার হোসেন ইফতি ও আব্দুল মজিদ। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তুলতে না পারলেও বিনা উইকেটে বরিশালের পুঁজি ছিল ৪৪ রান। পরবর্তীতে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন বরিশালের দুই ওপেনার। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতেখার।
ছন্দে থাকা মজিদকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে প্রথম উইকেট এনে দেন আহমেদ শরীফ। ডানহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেছিলেন মজিদ। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে ১৯ রান করা এই ব্যাটারকে। পরের ওভারে আউট হয়েছেন ইফতেখারও। ইরফানের লেগ স্টাম্পের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়েছেন। বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রান।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর শামসুল ইসলাম ও সোহাগ গাজীও দ্রুতই আউট হয়েছেন। পরবর্তীতে সালমানের সঙ্গে জুটি গড়ে বরিশালকে এগিয়ে দিয়েছেন ১৬ বলে ২৬ রান করা মইন খান। তবে শেষ কাজটা করেছেন সালমান। শেষ ওভারে যখন ২৫ রান প্রয়োজন তখন তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৭ রান নিয়ে বরিশালকে জিতিয়েছেন। চার ছক্কা ও দুই চারে ২৮ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সালমান।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিমের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল চট্টগ্রাম। তবে ২২ রান করে ফিরে যান জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে দেশে ফেরা শাহাদাত হোসেন দিপু আউট হয়েছেন ৩ রানে। বাকিদের মাঝে সাব্বির হোসেন ২১, ইয়াসির আলী রাব্বি ১২ এবং মুমিনুল হক ১৩ রান করেছেন। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ বলে ৯১ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। চট্টগ্রামের ১৮২ রানের দিনে বরিশালের হয়ে মেহেদী হাসান নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চট্টগ্রাম বিভাগ- ১৮২/৭ (২০ ওভার) (তামিম ৯১, জয় ২২, সাব্বির ২১; মেহেদী ৩/২৫)
বরিশাল বিভাগ- ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (ইফতেখার ৫৬, সালমান ৫৩*, মইন ২৬; শরীফ ২/২৭)