টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। ইনিংসের প্রথম বলেই মারুফার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ভিশমি। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও পরবর্তীতে রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আতাপাত্তু ও হাসিনী। একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন আতাপাত্তু। তাদের দুজনের ব্যাটেই পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৬৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
পাওয়ার প্লে শেষে অবশ্য তাদের ৭২ রানের জুটি ভাঙেন রাবেয়া। ডানহাতি লেগ স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৪৩ বলে ৪৬ রান করা আতাপাত্তু। দ্রুতই ফেরেন হার্শিতা ও কাভিশা। একশতে ৪ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে লঙ্কানরা। যদিও সেই চাপ বাড়তে দেননি হাসিনী ও ডি সিলভা। তাদের দুজনের ব্যাটেই একটু একটু এগিয়ে যেতে থাকে তারা। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পেরেরা।
তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন ডি সিলভা। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেছে স্বর্ণার কল্যাণে। ডানহাতি লেগ স্পিনারের বলে নিশিতার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৮ বলে ৩৭ রান করে। আনুশকা সাঞ্জাভানি, সুগান্ধিকা কুমারিও আউট হয়েছেন দ্রুতই। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে থাকলেও হাসিনীকে সেটা করতে দেননি স্বর্ণা। ৯৯ বলে ৮৫ রান করা হাসিনীকে ফেরান লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে। শেষ পর্যন্ত ২০২ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণা তিনটি ও রাবেয়া দুইটি উইকেট নিয়েছেন।