টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতকে ভালো শুরু এনে দেন স্মৃতি মান্ধানা ও প্রাতিকা রাওয়াল। তবে পাওয়ার প্লে শেষের আগেই তাদের দুজনের ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ফাতিমা। ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন মান্ধানা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দারুণ ছন্দে থাকলেও শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বাঁহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ৩২ বলে ২৩ রান করে। আরেক ওপেনার প্রাতিকাও ফিরেছেন একটু পরই।
সাদিয়া ইকবালের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন প্রাতিকা। ৫ চারে ৩৭ বলে ৩১ রান করেছেন তিনি। দুই ওপেনারকে হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হারমানপ্রীত ও হারলিন দেওল। যদিও তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি। ভারতের রান একশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পরই আউট হয়েছেন হারমানপ্রীত। দিয়ানা বেগের লেগ স্টাম্পের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন সিদরা নাওয়াজকে। ৩৪ বলে ১৯ রান করেছেন ভারতের অধিনায়ক।
জেমাইমা রদ্রিগেজকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে টেনেছেন হারলিন। যদিও হাফ সেঞ্চুরির আগে ফিরতে হয়েছে তাকেও। রামিম শামীমের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় লং অনে নাশরাকে ক্যাচ দিয়েছেন। একটি ছক্কা ও চারটি চারে ৬৫ বলে দলের সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন হারলিন। ডানহাতি ব্যাটারকে দারুণ সঙ্গ দেয়া জেমাইমা আউট হয়েছেন ৩২ রানে।
১৫৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দীপ্তি ও স্নেহ রানা মিলে জুটি গড়ে দলের রান দুইশ পার করেছেন। ২০ রান করা স্নেহকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ফাতিমা। ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি অলরাউন্ডার দীপ্তিও। তবে শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলে রিচা ঘোষ। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ২০ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তাদের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ২৪৭ রানের পুঁজি পায় ভারত। পাকিস্তানের হয়ে দিয়ানা চারটি, ফাতিমা ও সাদিয়া নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।