২০২১ সালে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব বাতিল হওয়ায় প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। মূলত র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আটে থাকায় নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ সুযোগ পেয়েছিলেন জ্যোতি-শারমিন আক্তার সুপ্তারা। যদিও নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বলার মতো কিছু করতে পারেনি তারা।
সেবার শুধু মাত্র পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য অন্তত শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রথমবার ভালো করতে না পারলেও নিজেদের দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করতে বেশ প্রত্যয়ী জ্যোতিরা। বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন, তারা জানেন এসব টুর্নামেন্টে কিভাবে জিততে হয়।
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ‘ক্যাপ্টেনস ডেতে’ জ্যোতি বলেন, ‘এটা আমাদের দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আগে আমরা অনভিজ্ঞ ছিলাম এবং বড় ইভেন্টে জেতার ক্ষেত্রেও অপরিচিত ছিলাম। তারপর থেকে দেশে ও দেশের বাইরে আমরা প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। এখন আমরা জানি এসব টুর্নামেন্টে কিভাবে ম্যাচ জিততে হয়।’
সবশেষ কয়েক বছরে বদলে গেছে মেয়েদের ক্রিকেট। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ জেতার পর বাংলাদেশেও মেয়েদের নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। একটা সময় মেয়েদের ক্রিকেটের কেউ খোঁজ না রাখলেও সাম্প্রতিক সময়ে টিভি, ইউটিউবে জ্যোতিদের খেলা সম্প্রচার হচ্ছে। দর্শকরাও সুযোগ পেলেই খেলা দেখতে আসছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন, সময় এসেছে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সমর্থকদের প্রতিদান দেয়ার।
তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা মুখিয়ে আছি। আমাদের সবার জন্যই এটা একটা ভালো সুযোগ। আমরা আমাদের দেশে ক্রিকেট প্রচারের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন, যেখানে কিনা নারীদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে আমাদের সমর্থকদের প্রতিদান দেয়ার সময় এসেছে।’